উপরের ছবিটি - শাফিন ও হাদিয়ার । গুগল থেকে সংগৃহীত
আখিলা অশোকা - তামিল নাড়ুর সালেমে একটি হোমিওপ্যাথি কলেজের ছাত্রী ছিলেন । কলেজে পড়ার সময় তার পরিচয় হয় মুসলিম ধর্মের শাফিন জাহানের সাথে । আখিলা , শাফিনের ও তার ধর্মের প্রেমে পড়ে যান । ২০১০ সালে আখিলা ধর্মান্তরিত হয়ে হাদিয়া নাম গ্রহণ করে সালেমের পুথুর জুমা মসজিদে শাফিনের সাথে বিয়ে করেন । আখিলার বাবা - অবসরপ্রাপ্ত বি.এস.এফ K.M. Ashokan এই বিয়েকে সম্পূর্ণ অবৈধ দাবি করে কেরালা হাইকোর্টে কেস করেন । কেরালা হাইকোর্ট হাদিয়া ও শাফিনের বিয়েকে " লাভ জিহাদ " আখ্যা দিয়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় এবং আখিলার সম্পূর্ণ দ্বায়িত্ব আখিলার বাবাকে নিতে বলা হয় ।
শাফিন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেস করেন । আজ ১০ই এপ্রিল ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে - হাদিয়ার বিবাহ সম্পূর্ণ বৈধ । ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অধিকার আছে নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্ম বেছে নেওয়ার । পুলিশ ইনভেস্টিগেশনে প্রমানিত হয়েছে আখিলা নিজের ইচ্ছায় , জ্ঞানত অবস্থায় ইসলাম ধর্মকে গ্রহণ করেছে । ধর্ম গ্রহনের পর , সঠিক পদ্ধতি মেনে তারা বিয়ে করেছেন ; সেহেতু তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ বৈধ । হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা অসংবিধানিক - এবং হাই কোর্টের এই ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের Justice Dipak Misra, Justices A.M. Khanwilkar এবং D.Y. Chandrachud নিজেদের দুঃখ ব্যাক্ত করেছেন । বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন - "একজন ব্যাক্তি কাকে তার জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেবে তার উপর ধর্মের কোনো প্রভাব না থাকাই উচিৎ । ভারতীয় সংবিধান সমস্ত ভারতবাসীকে নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী - নিজ ধর্ম বেছে নেওয়া ও চর্চা করার অধিকার দিয়েছে । কে ,কোন ধর্মের জীবনসঙ্গী বেছে নেবে তা সম্পূর্ণ সেই ব্যাক্তির নিজ সিদ্ধান্ত " । হাদিয়া'র জীবনের মূল্যবান যে বছরগুলো নষ্ট হল - সেগুলো ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে বিচারপতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।
আখিলা অশোকা - তামিল নাড়ুর সালেমে একটি হোমিওপ্যাথি কলেজের ছাত্রী ছিলেন । কলেজে পড়ার সময় তার পরিচয় হয় মুসলিম ধর্মের শাফিন জাহানের সাথে । আখিলা , শাফিনের ও তার ধর্মের প্রেমে পড়ে যান । ২০১০ সালে আখিলা ধর্মান্তরিত হয়ে হাদিয়া নাম গ্রহণ করে সালেমের পুথুর জুমা মসজিদে শাফিনের সাথে বিয়ে করেন । আখিলার বাবা - অবসরপ্রাপ্ত বি.এস.এফ K.M. Ashokan এই বিয়েকে সম্পূর্ণ অবৈধ দাবি করে কেরালা হাইকোর্টে কেস করেন । কেরালা হাইকোর্ট হাদিয়া ও শাফিনের বিয়েকে " লাভ জিহাদ " আখ্যা দিয়ে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটায় এবং আখিলার সম্পূর্ণ দ্বায়িত্ব আখিলার বাবাকে নিতে বলা হয় ।
শাফিন এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে কেস করেন । আজ ১০ই এপ্রিল ২০১৮ সালে সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছে - হাদিয়ার বিবাহ সম্পূর্ণ বৈধ । ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি ভারতীয় নাগরিকের অধিকার আছে নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী ধর্ম বেছে নেওয়ার । পুলিশ ইনভেস্টিগেশনে প্রমানিত হয়েছে আখিলা নিজের ইচ্ছায় , জ্ঞানত অবস্থায় ইসলাম ধর্মকে গ্রহণ করেছে । ধর্ম গ্রহনের পর , সঠিক পদ্ধতি মেনে তারা বিয়ে করেছেন ; সেহেতু তাদের বিয়ে সম্পূর্ণ বৈধ । হাইকোর্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা অসংবিধানিক - এবং হাই কোর্টের এই ধরনের সিদ্ধান্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের Justice Dipak Misra, Justices A.M. Khanwilkar এবং D.Y. Chandrachud নিজেদের দুঃখ ব্যাক্ত করেছেন । বিচারপতি চন্দ্রচূড় বলেছেন - "একজন ব্যাক্তি কাকে তার জীবনসঙ্গী হিসাবে বেছে নেবে তার উপর ধর্মের কোনো প্রভাব না থাকাই উচিৎ । ভারতীয় সংবিধান সমস্ত ভারতবাসীকে নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী - নিজ ধর্ম বেছে নেওয়া ও চর্চা করার অধিকার দিয়েছে । কে ,কোন ধর্মের জীবনসঙ্গী বেছে নেবে তা সম্পূর্ণ সেই ব্যাক্তির নিজ সিদ্ধান্ত " । হাদিয়া'র জীবনের মূল্যবান যে বছরগুলো নষ্ট হল - সেগুলো ফেরত দেওয়া সম্ভব নয় বলে বিচারপতি দুঃখ প্রকাশ করেছেন ।
বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হওয়া সাংবিধানিক অধিকার ? সুপ্রিম কোর্টের রায়
Reviewed by Wisdom Apps
on
জুলাই ১৫, ২০১৮
Rating:
কোন মন্তব্য নেই: