Featured Posts

[সমস্যা%20সমাধান][feat1]

ক্রেতা বা ভোক্তা সুরক্ষা আইন, 1986 (সংশোধিত, 2002)

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

প্রারম্ভিক কথন ও সংজ্ঞা

প্রারম্ভিক কথন (Preliminaries) :

দেশের উন্নতির মূলে আছে উৎপাদন এবং উৎপাদন বিক্রির কেন্দ্রে আছে ক্রেতারা। আমাদের দেশের এই ক্রেতারা অধিকাংশই অশিক্ষিত ও অসংগঠিত। এই অশিক্ষা ও অসংগঠনের কারণে, বাজার থেকে সঠিক দামে সঠিক দ্রব্য বা সেবা ক্রয়ের ক্ষমতা তাদের সীমাবদ্ধ থাকায়, তারা ব্যবসায়ীদের দ্বারা প্রতারিত ও প্রবঞ্চিত হয়। কারণ, ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের তুলনায় অনেক বেশি সংগঠিত থাকায় ক্রেতাদেরকে প্রতারিত করার সুযোগ তাদের হাতে অনেক বেশি।



স্বাধীনতার পর ভারতে দ্রুত শিল্পায়ন ও শিল্পোন্নয়ন ঘটে এবং পরবর্তীকালে সরকার বিশ্ববাজারের দরজা খুলে দিলে, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীরা শঙ্কিত হয়ে পড়ে এই ভেবে যে, নিম্নমানের জিনিস তৈরি করে, তারা বিদেশি শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দাঁড়াতে পারবে না।

ব্যবসায়ীদের প্রতারণা ও প্রবঞ্চনার হাত থেকে ক্রেতাদের স্বার্থ সুরক্ষা করার জন্য 1986 সালে ভারত সরকার ক্রেতা বা ভোক্তা সুরক্ষা আইন প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে। স্বাধীন ভারতে জনস্বার্থ সংক্রান্ত যেসব আইন প্রণয়ন করা হয়েছে, তাদের মধ্যে ক্রেতা বা ভোক্তা সুরক্ষা আইনটি, অন্যতম একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। ক্রেতা বা ভোক্তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য 1986 সালে প্রণীত আইনটি দু'বার সংশোধিত ও পরিমার্জিত করা হয়েছে – প্রথম সংশোধনটি হয় 1993 সালে ও দ্বিতীয়ত সংশোধনটি ঘটে 2002 সালে এবং এই সংশোধনী আইন 2003 সালের 15ই মার্চ থেকে কার্যকরী হয়েছে।

আইন চালু হওয়ার সময় ও স্থান (Time and Place of Introducing the Act):

1986 সালের 24 শে ডিসেম্বর থেকে এই আইনটি বলবৎ হয়। জম্মু ও কাশ্মীর ছাড়া এই আইন ভারতের সর্বত্র প্রযোজ্য।

এই আইনের উদ্দেশ্য (Purpose of the Act) :

1. এই আইন ক্রেতা বা ভোক্তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ ও ক্রেতাদের পরিষেবার জন্য তৈরি হয়েছে।

2. এই আইন ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা ও উন্নতি বর্ধনের রক্ষাকবচ। ভোক্তাদের এই অধিকারগুলি নিম্নরূপ-

(a) কোনো পণ্য বা সেবা ক্রয় করার ফলে, ক্রেতার জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন হলে, এই আইনের সাহায্য নেওয়ার অধিকার ক্রেতাদের আছে।

(b) অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রতিকার করার ও বিবেকবর্জিত শোষণের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য এই আইনের সাহায্য নেওয়ার অধিকার ক্রেতার আছে।

(c) অধিকার সংক্রান্ত সচেতনার শিক্ষা গ্রহণ করার অধিকার ক্রেতাদের রয়েছে।

(d) প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে যতদূর সম্ভব বিভিন্ন ধরনের ও গুণমানের দ্রব্য ক্রয় করার অধিকার ক্রেতাদের আছে।

(e) অসাধু ব্যবসায়িক কার্যকলাপের কবল থেকে রক্ষা পাবার এবং ভোগ্যদ্রব্যের প্রকৃতিগত গুণ, পরিমাণ, শুদ্ধতা, গুণমান ও মূল্য সম্বন্ধীয় তথ্য জানবার অধিকার ক্রেতাদের আছে।

(f) ক্রেতাদের যথোপযুক্ত স্বার্থ রক্ষার জন্য বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ও সুবিবেচনা পাওয়ার অধিকার ক্রেতাদের আছে।

3. উপরোক্ত অধিকার ছাড়া, এই আইনের মূল উদ্দেশ্য হল, ক্রেতাদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং সেই উদ্দেশ্যে ক্রেতা-সংশ্লিষ্ট বিবাদের মীমাংসার জন্য ক্রেতা পরিষদ গঠন করা।

4. ক্রেতাদের বিবাদের দ্রুত ও সহজ প্রতিকারের জন্য জেলাস্তরে, রাজ্যস্তরে ও জাতীয়স্তরে উপআদালত (Quari judicial) নামক নিয়ন্ত্রক সংস্থা স্থাপন। স্বাভাবিক ন্যায়বোধের নীতি অনুসরণ করে এরূপ সংস্থা ক্রেতাদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আদেশ জারি করতে এবং এই আদেশ অমান্য করলে শাস্তির ব্যবস্থা থাকবে।

সংজ্ঞাসমূহ (Definitions):

1. যথোপযুক্ত পরীক্ষাগার (Appropriate laboratory): যথোপোযুক্ত পরীক্ষাগার বলতে এমন কোনো পরীক্ষাগার বা সংস্থাকে বোঝায় যা一

(a) কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা স্বীকৃত; অথবা,

(b) কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি-নির্ধারক নির্দেশাবলি সাপেক্ষে রাজ্য সরকার দ্বারা স্বীকৃত; অথবা,

(c) পণ্যের ত্রুটি সংক্রান্ত পরীক্ষা নিরীক্ষা বা বিশ্লেষণ চালাবার জন্য অন্য কোনো আইন দ্বারা সৃষ্ট এমন কোনো ধরনের পরীক্ষাগার বা সংস্থা যা কেন্দ্রীয় সরকার, বা রাজ্য সরকারের অর্থে বা আর্থিক সাহায্যে পরিচালিত।

2. শাখা কার্যালয় (Branch Office): শাখা কার্যালয় বলতে এমন কোনো

শাখা দপ্তরকে বোঝায়, যা প্রধান কার্যালয়ের মূল কাজকর্ম বা মোটের ওপর একই কাজকর্ম পরিচালনা করে।

3. অভিযোগকারী (Complainant): অভিযোগকারী বলতে বোঝায়-

(a) ক্রেতা বা ভোক্তা নিজে; অথবা

(b) 1956 সালের কোম্পানি আইন অথবা, অন্য কোনো প্রচলিত সমকালে কার্যকরী আইন দ্বারা নিবন্ধিত কোনো স্বেচ্ছামূলক উপভোক্তা সমিতি; অথবা,

(c) কেন্দ্রীয় সরকার বা কোনো রাজ্যসরকার যখন কোনো অভিযোগ দায়ের করে; অথবা,

(d) একই স্বার্থসংশ্লিষ্ট বহু সংখ্যক ভোক্তা বা ক্রেতার মধ্য থেকে এক বা একাধিক ভোক্তা বা ক্রেতা।

2002 সালের ভোক্তা বা ক্রেতা (সংশোধিত) আইনে সংযোজিত হয়েছে যে, কোনো ভোক্তার মৃত্যু ঘটলে, সেই ভোক্তার আইনগত উত্তরাধিকারী বা প্রতিনিধিও অভিযোগকারীর আওতার অন্তর্ভুক্ত হবে।

4. অভিযোগ (Compleaint): অভিযোগ বলতে বোঝায়, অভিযোগকারীর লিখিত নালিশ এবং সেই নালিশের ধরণগুলো নিম্নরূপ-

(a) অসাধু ব্যবসায়িক কার্যকলাপ অথবা সীমায়িত বা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবসায়িক কার্যকলাপের জন্য ভোক্তা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সে নালিশ করতে পারে।

(b) ক্রীতপণ্যে বা কেনার জন্য চুক্তিবদ্ধ পণ্যে যদি এক বা একাধিক ত্রুটি থাকে, তা হলে ক্রেতা নালিশ করতে পারে।

(c) ক্রেতা ব্যবহার করতে দেওয়া বা গৃহীত পরিষেবায় সন্তুষ্ট না হলে অর্থাৎ সেবায় কোনো ঘাটতি থাকলে, ভোক্তা বা ক্রেতা অভিযোগ করতে পারে।

(d) কোনো আইন বা সমকালে কার্যকরী প্রচলিত কোনো আইনের দ্বারা নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কোনো পণ্য বিক্রি করলে, বিক্রেতার বিরুদ্ধে ক্রেতার অভিযোগ করার অধিকার আছে।

(e) ব্যবহারের সময় জীবন ও নিরাপত্তার পক্ষে বিপজ্জনক ও ক্ষতিকর দ্রব্য বিক্রয়ের ক্ষেত্রে, ক্রেতাকে দ্রব্যের বিপজ্জনক ও ক্ষতিকারক দিকটি অবহিত করার সময়কালে কার্যকরী আইনানুগ দায়িত্ব বিক্রেতা পালন না করলে, এবং এর ফলে ক্রেতা ক্ষতিগ্রস্ত হলে, সে বিক্রেতার বিরুদ্ধে নালিশ করতে পারে।

2002 সালের ভোক্তা বা ক্রেতা (সংশোধিত) আইন দ্বারা সংযোজিত অভিযোগের সংজ্ঞাকে আরও প্রশস্ত করার জন্য এই সংজ্ঞায় আরও কিছু অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

সেগুলি নিম্নরূপ-

(A) কোনো পরিষেবা সরবরাহকারী, যদি কোনো অসাধু অথবা সীমায়িত বা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবসায়িক কার্যকলাপ গ্রহণ করে অথবা, নির্ধারিত দামের চেয়ে অধিক দামে যদি পরিষেবা বিক্রি করে অথবা, জীবন ও নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকারক কোনো পরিষেবা যদি সরবরাহ করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে নালিশ করার অধিকার ভোক্তার থাকে।

5. ভোক্তা বা ক্রেতা (Consumer):

(a) ভোক্তা বা ক্রেতা হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যে প্রদানের (consideration) বিনিময়ে কোনো পণ্যদ্রব্য ক্রয় করে। এরূপ প্রতিদান পূর্ণরূপে প্রদান করা যায় অথবা, প্রদানের প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় বা, আংশিকভাবে প্রদান করা যায় বা, আংশিক প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রদান করা যায়। প্রতিদানের পূর্ণ প্রদান ছাড়া, সবরকম আংশিক প্রদানই কোনো বিলম্বিত মূল্যপ্রদান পদ্ধতিগত (detered payment system) চুক্তির মাধ্যমে করতে হয়। পণ্যের বণ্টন প্রক্রিয়ার চূড়ান্ত পর্যায়ের ভোগকারীকেই ক্রেতা বা ভোক্তা বলে। পুনরায় বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অথবা উৎপাদন পদ্ধতির উপাদান হিসেবে, বাণিজ্যিক ব্যবহার করার উদ্দেশ্যে কোনো পণ্য ক্রয় করলে, সেরূপ ব্যক্তিকে ক্রেতা বা ভোক্তা বলা যায় না।

(b) ভোক্তা বা ক্রেতা হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যে প্রতিদানের (consider-ation) বিনিময়ে কোনো পরিষেবা ক্রয় করে। পরিষেবা পাওয়ার বিনিময়ে এরূপ প্রতিদান পূর্ণরূপে প্রদান করা যায় অথবা, প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে বা আংশিক প্রদান করে বা অবশিষ্ট অংশ প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে করা যায়। প্রতিদানের পূর্ণ প্রদান ছাড়া সবরকম আংশিক প্রদানই কোনো বিলম্বিত মূল্যপ্রদান পদ্ধতিগত চুক্তির মাধ্যমে করতে হয়। প্রতিদান প্রদানকারী ব্যক্তির অনুমতি সাপেক্ষে অন্য কোনো ব্যক্তি পরিষেবা ভোগ করলে, সেই ব্যক্তিকেও ক্রেতা বা ভোক্তারূপে গণ্য করা হয়।

2002 সালের ভোক্তা বা ক্রেতা (সংশোধিত) আইনের নতুন সংযোজন অনুযায়ী, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে কোনো পরিষেবা ক্রয় করলে, সেই ব্যক্তিকে ক্রেতা বা ভোক্তা বলা যায় না।

6. ক্রেতা বা ভোক্তা বিরোধ (consumer despute): অভিযোগকারী যখন কোনো ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে এবং সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি সেই অভিযোগকে অস্বীকার করে বা সেই অভিযোগের বিরোধিতা করে, তাহলে তা ক্রেতা বা ভোক্তা বিরোধ বলে গণ্য হবে। এই অভিযোগ পেশ ও অভিযোগ অস্বীকার দুই-ই লিখিতভাবে করতে হবে।

7. ঘাটতি (Deficiency) : কোনো ক্রয়-চুক্তি সম্পাদন দ্বারা, বা সমকালে কার্যকরী প্রচলিত কোনো আইন অনুসারে, পরিষেবার উৎকৃষ্টতা ও গুণগত মানের

মধ্যে কোনো দোষ, অসম্পূর্ণতা বা অপর্যাপ্ততা থাকলে তাকে ঘাটতি বলে।

8. ত্রুটি (Defect): ক্রয়-চুক্তি সম্পাদন দ্বারা বা সমকালে কার্যকরী প্রচলিত কোনো আইন অনুসারে, কোনো পণ্যের পরিমাণগত, গুণগত, কার্যকরী ক্ষমতা ও বিশুদ্ধতার মধ্যে কোনো ঘাটতি, দোষ বা অসম্পূর্ণতা থাকাকেই ত্রুটি (Defect) বলে।

9. জেলা ফোরাম বা ক্রেতা আদালত (Destriedt forum): যেখানে ক্রেতাদের পণ্য বা পরিষেবা সংক্রান্ত বিরোধের মীমাংসা করা হয়, তাকে ক্রেতা আদালত বলে। ক্রেতা সুরক্ষা আইনের 9(a) নং ধারা অনুযায়ী ক্রেতা বিরোধ মেটানোর জন্য প্রতি জেলাতেই এক বা একাধিক ক্রেতা আদালত থাকে।

10. পণ্য বা দ্রব্য (Goods): 1930 সালের পণ্য বিক্রয় আইনে (Sale of

Goods Act, 1930) পণ্যের সংজ্ঞা দেওয়া আছে। ওই সংজ্ঞা দেওয়া আছে। ওই আইনের 2(7) নং ধারায় বলা হয়েছে যে, মামলাযোগ্য দাবি (actionable claim) ও বিহিত মুদ্রা ছাড়া, সব ধরনের অস্থাবর সম্পত্তিই পণ্য বলে গণ্য হবে।

11. উৎপাদক (Manufacturer): উৎপাদক বলতে এমন কোনো ব্যক্তিকে বোঝায় যে-

(a) কোনো পণ্য বা তার কোনো অংশ তৈরি করে বা উৎপাদন করে, অথবা,

(b) অন্য কোনো উৎপাদকের তৈরি পণ্যের ওপর তার নিজস্ব কোনো চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহার করে নিজের উৎপাদিত পণ্য বলে দাবি করে।

2002 সালের ক্রেতা বা ভোক্তা সুরক্ষা (সংশোধি) আইনে সংযোজিত হয়েছে যে, উপরোক্ত (b) ও (c) শ্রেণিভুক্ত পণ্যের উৎপাদক, সেই পণ্যসমূহকে নিজের বলে দাবি না করলেও, ওইসব শ্রেণির পণ্য তার নিজস্ব বলেই পরিগণিত হবে।

12. সদস্য (Member): সদস্য বলতে জাতীয় কমিশন (National Commission), রাজ্য কমিশন (State Commission) ও জেলা ক্রেতা আদালতের (District Forum) সভাপতি স্বয়ং ও অন্যান্য সদস্যবর্গকে বোঝায়।

13. জাতীয় কমিশন (National Commission): জাতীয় কমিশন বলতে বোঝায়, কেন্দ্রীয় সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত জাতীয় ক্রেতা বিরোধ প্রতিকার কমিশন (National Consumer Dispute Redressal Commission)।

14. বিজ্ঞপ্তিপত্র (Notification): সরকারি গেজেটে প্রকাশিত ইস্তেহারকে বিজ্ঞপ্তি পত্র বলে।

15. ব্যক্তি (Person): ব্যক্তি বলতে বোঝায়-

(a) একটি অংশীদারি কারবার-সেটি নিবন্ধিতই হোক বা অনিবন্ধিত।

(b) একটি যৌথ হিন্দু পরিবার।

(c) কোনো সমবায় সমিতি।

(d) 1860 সালের সোসাইটি রেজিস্ট্রেশন আইন দ্বারা নিবন্ধিত ব্যক্তিবর্গের সমিতি।

16. সীমায়িত বা নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যাবসায়িক কার্যকলাপ (Restrictive trade practice): সীমায়িত ব্যবসায়িক কার্যকলাপ বলতে সেইসব ব্যবসায়িক কার্যকলাপকে

বোঝায়, যেসব কার্যকলাপের মাধ্যমে ক্রেতা কোনো পণ্য বা পরিষেবা কেনা, ভাড় 'নেওয়া অথবা, পাওয়ার জন্য পণ্য কোনো পণ্য বা পরিষেবা কেনার পূর্বশর্ত আরোপিত করা।

2002 সালের ক্রেতা বা ভোক্তা (সংশোধিত) আইনে সীমায়িত ব্যবসায়িক

কার্যকলাপের সংজ্ঞাকে আরো বিস্তৃত বা প্রসারিত করে বলা হয়েছে যে, কৌশল গতভাবে অসৎ উদ্দেশ্যে পণ্যের মূল্য বা পণ্য অর্পণের শর্ত বা পণ্য সরবরাহের জোগান নিয়ন্ত্রণ করে। অন্যায়ভাবে ভোক্তার ওপর চাপ বা নিয়ন্ত্রণ সৃষ্টি করা এবং ওইসব কার্যকলাপের জন্য নির্ধারিত উত্তরণের বিলম্বের জন্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়াও সীমায়িত ব্যাবসায়িক কার্যকলাপের আওতায় আসবে। এরপর পূর্বশর্ত আরোপকেই ব্যবসায়িক সীমাবদ্ধতা বলে।

17. সেবা পরিষেবা (Services): সেবা বা পরিষেবা বলতে সেইসব সেবামূলক

কাজকে বোঝায়, যেগুলি ক্রেতার প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হয়, অর্থাৎ ক্রেতার কাছে যেসব সেবার উপযোগিতা আছে এবং যেসব সেবা ক্রেতা বা ভোক্তা অর্থের বিনিময়ে লাভ করে, সেইসব সেবাই আইনত সেবামূলক কাজ বলে গম্য হবে। কিন্তু যেসব সেবার জন্য কোনো মূল্য দিতে হয় না, অথবা, ব্যক্তিগত চুক্তিতে যে সেবাদান করা হয়, তাকে সেবা বলে গণ্য করা হয় না। আইনত সেবামূলক কাজ বলতে যেসব পরিষেবাকে বোঝায়, সেগুলির কয়েকটি উদাহরণ হল-ব্যাঙ্কিং, অর্থজোগান (financing), বিমা (insurance), পরিবহন (transport), বিদ্যুৎ বা অন্য কোনো শক্তির সরবরাহ (electrical or other energy) আমোদ-প্রমোদ ও বিনোদন, তথ্য সরবরাহ (Purveying of news or other information), থাকা খাওয়া (boarding and lodging) ইত্যাদি।

2002 সালের ক্রেতা বা ভোক্তা (সংশোধিত) আইনে পরিষেবার সংজ্ঞাকে আরও সুস্পষ্ট করার জন্য বলা হয়েছে যে, আইনের ব্যাখ্যার ওপরে উল্লিখিত যেসব পরিষেবার নাম করা হয়েছে, সেগুলো শুধুমাত্র উদাহরণ।

18. রাজ্য কমিশন (State Commission): রাজ্য কমিশন বলতে বোঝায়, রাজ্য সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত রাজ্য ক্রেতা বিরোধ প্রতিকার কমিশন (State Consumer Disputer Redressal Commission)। বিজ্ঞপ্তি জারি করে, রাজ্য সরকারকে এই কমিশন প্রতিষ্ঠা বা স্থাপন করতে হয়।

19. অন্যায্য বা অনৈতিক ব্যবসায়িক কার্যকলাপ (Unfair trade practice): কোনো পণ্য বা পরিষেবার বিক্রয় বাড়ানোর উদ্দেশ্যে, যে অন্যায্য পদ্ধতি বা প্রতারণামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়, তাকে অন্যায্য বা অনৈতিক ব্যবসায়িক কার্য বলে।

(a) অন্যায্য বা অনৈতিক ব্যবসায়িক কার্যকলাপ লিখিত হতে পারে, আবার মৌখিকও হতে পারে। এমনকি, এসব কার্যকলাপ প্রতিনিধি মারফতও হতে পারে। অর্থাৎ কোনো ব্যবসায়ী যদি অনৈতিকভাবে কোনো ভ্রান্তিমূলক বা প্রতারণামূলক

বিজ্ঞাপন (মৌখিক বা লিখিত যাই হোক না কেন) দেয়, তাহলে সেই কাজ অন্যায্য বা অনৈতিক কার্যকলাপ বলে গণ্য হবে। এ ধরনের অন্যায্য বা অনৈতিক কার্যকলাপ নিম্নরূপ হয়।-

(i) যদি পণ্যের উৎকর্ষতা, গুণগত মান, পরিমানগত মান, গুণ বা মূল্যগত পর্যায়, গুণ বা মূল্যগত পর্যায়, বস্তুগত মিশ্রণ, কেতাদুরস্ততা, মডেল বা প্রতিমান ইত্যাদি সম্পর্কে বিজ্ঞাপনে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া হয়।

(ii) যদি পরিষেবার উৎকর্ষতা, গুণগতমান, পর্যায় ইত্যাদি বিষয়ে বিজ্ঞাপনে মিথ্যা বর্ণনা দেওয়া হয়।

(iii) ব্যবহৃত হওয়া কোনো পুরোনো দ্রব্যকে পুনর্নির্মান বা নতুনভাবে মেরামত করে নতুন পণ্য হিসেবে যদি উপস্থাপিত করা হয়।

(iv) কোনো পণ্য বা পরিষেবা উৎপাদনের জামিনদার, অনুমোদন, সাফল্য, বিশিষ্টতা, গৌণভাবে সহায়কতা, ব্যবহারযোগ্যতা অথবা কোনো ফয়দা বা সুবিধা না থাকা সত্ত্বেও এসব আছে বলে প্রচার করা।

(v) পণ্য বিক্রেতা বা পণ্য সরবরাহকারীর পণ্যের জমিদারি বা অনুমোদন বা সংযুক্তিকরণ ইত্যাদি না থাকা সত্ত্বেও, ওইসব আছে বলে প্রতিভাত করা।

(vi) কোনো পণ্য বা পরিষেবার উপযোগিতা ও প্রয়োজনীয়তা সম্বন্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন।

(vii) কোনো পণ্যের কার্যকারিতা, ফলপ্রদতা ও জীবনকাল সম্বন্ধে যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই যদি ওইসব গুণগত মানের জন্য জমিন (guarantee) ও নির্ভরপত্র (warranty) প্রদান সম্বন্ধে জনসাধারণকে আশ্বাস দেওয়া হয়।

(viii) জনসাধারণের কাছে এমনভাবে উপস্থাপনা করা হবে, যাতে সাধারণ অর্থে মনে হবে যে,

(a) কোনো পণ্য বা পরিষেবার জন্য জামিন অথবা নির্ভরপত্র দেওয়া হল;

(b) কোনো পণ্য পুনঃস্থাপন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে দেওয়ার জন্য অথবা কোনো পরিষেবা পুরনরাবৃত্তি বা চালিয়ে যাবার জন্য প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল;

এবং উক্তরূপ জামিন বা নির্ভরপত্র বা প্রতিশ্রুতি বিভ্রান্তিকর ছাড়া আর কিছু নয় এবং ওইরূপ জামিন বা নির্ভরপত্রের শর্ত সম্পাদনের কোনো যুক্তিযুক্ত সম্ভাবনা আছে বলে মনে হয় না।

(ix) কোনো পণ্য বা অনুরূপ পণ্য অথবা কোনো পরিষেবার বাজার দাম সম্বন্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করা হয়।

(x) অপর কোনো ব্যক্তির পণ্য বা পরিষেবা সম্বন্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করে যদি তথ্য পরিবেশন করে যদি ওইসব পণ্য, পরিষেবা অথবা ওই ধরনের ব্যবসা সম্বন্ধে হেয় বা তাচ্ছিল্য করা হয়।

(b) দর কষাকষির মাধ্যমে বিক্রয় (Bargain sale): দর কষাকষির মাধ্যমে কোনো পণ্য বিক্রয় ও পরিষেবা সরবরাহ করার ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও, যদি কোনো

ব্যবসায়ী ওইরূপ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য সংবাদপত্রে বা অন্য কোনো বিজ্ঞাপন মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেয়, তাহলে তা অনৈতিক ব্যবসায়ী কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য হবে।

(c) বিক্রয় প্রসার কর্মসূচির প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা (Breach of sales promotion programme) : বিক্রয় প্রসার ও বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ী যদি বিনামূল্যে কোনো উপহার, পুরস্কার বা পরিতোষিক দেওয়ার কথা ঘোষণা করে, কিন্তু পরবর্তীকালে সেই ঘোষণা কার্যকরী না করে, তাহলে ওই কাজকে অনৈতিক ব্যবসায়িক কাজ হিসেবে গণ্য করা হবে।

(d) পণ্যের গুণাগুণ সম্পর্কে ভ্রান্তিকর বর্ণনা (False description of quality of goods): কোনো ব্যবসায়ী যদি কোনো পণ্যের উৎকর্ষের গুণগত মান যা, তার চেয়ে বেশি উৎকৃষ্টতা দাবি করে, তাহলে তা অনৈতিক ব্যবসায়ী কার্যকলাপ হিসেবে গণ্য হবে।

(e) মজুতদারি (Hoafding): কৃত্রিম অভাব সৃষ্টি করে, দাম বাড়ানোর জন্য

কোনো ব্যবসায়ী যদি অবৈধভাবে বেশি পরিমাণ পণ্য মজুত রাখে, বা পণ্য নষ্ট করে ফেলে, তাহলে ওইসব কাজ অনৈতিক কাজ হিসেবে গণ্য হবে।


ক্রেতা বা ভোক্তা সুরক্ষা আইন, 1986 (সংশোধিত, 2002)  ক্রেতা বা ভোক্তা সুরক্ষা আইন, 1986 (সংশোধিত, 2002) Reviewed by Wisdom Apps on অক্টোবর ০৭, ২০২৫ Rating: 5

NIFTY 50 কি ? খায় না মাথায় মাখে ?

ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪

 নিফটি ৫০ কী?

নিফটি ৫০ হলো ভারতের একটি অন্যতম প্রধান শেয়ারবাজার সূচক, যা ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ (NSE)-এ তালিকাভুক্ত ৫০টি বৃহৎ, তরল এবং আর্থিকভাবে স্থিতিশীল কোম্পানির পারফরম্যান্সকে উপস্থাপন করে। এটি ভারতীয় শেয়ারবাজারের এবং দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং কার্যকারিতা পরিমাপের একটি সূচক। ধরে নিন এই ৫০ টি কোম্পানী ভালো চললে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতি ঊর্ধ্বমুখী যাবে আশা করা যায় । কাজেই নিবেশকদের জন্য নিফটি - ৫০ খুবই দরকারি । 


নিফটি ৫০-এর বৈশিষ্ট্যসমূহ

  1. সূচকের গঠন:

    • নিফটি ৫০-এ ১৪টি বিভিন্ন সেক্টরের ৫০টি কোম্পানি অন্তর্ভুক্ত, যেমন আইটি, ব্যাঙ্কিং, শক্তি, ঔষধ, FMCG প্রভৃতি।
    • এই কোম্পানিগুলি বাজার মূলধন, তরলতা এবং NSE ইন্ডাইস লিমিটেডের নির্ধারিত অন্যান্য মানদণ্ডের ভিত্তিতে নির্বাচিত হয়।
  2. বাজার উপস্থাপন:

    • নিফটি ৫০ NSE-এ তালিকাভুক্ত সমস্ত কোম্পানির মোট 65%-70% মুক্ত বাজার মূলধন উপস্থাপন করে।
    • এটি ভারতীয় শেয়ারবাজারের একটি সামগ্রিক চিত্র প্রদান করে এবং বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি বেঞ্চমার্ক হিসাবে ব্যবহৃত হয়।
  3. ওজন নির্ধারণ পদ্ধতি:

    • নিফটি ৫০ একটি মুক্ত বাজার মূলধন ভিত্তিক ওজন নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসরণ করে।
    • এটি বোঝায় যে, যেসব কোম্পানির বাজার মূলধন বেশি এবং মুক্ত শেয়ারের সংখ্যা বেশি, সেগুলি সূচকে বড় প্রভাব ফেলে।
  4. পুনর্বিবেচনা:

    • নিফটি ৫০-এর গঠন প্রতি ছয় মাস অন্তর (মার্চ ও সেপ্টেম্বর) পুনর্বিবেচিত এবং সংশোধিত হয়।
    • মানদণ্ড পূরণ করতে ব্যর্থ হওয়া কোম্পানিগুলিকে নতুন কোম্পানি দ্বারা প্রতিস্থাপন করা হয়।
  5. মূল বছর ও মান:

    • নিফটি ৫০-এর মুল বছর ১৯৯৫, এবং এর ভিত্তি মান ১০০০ পয়েন্ট
    • সূচকের বর্তমান মান এর অন্তর্ভুক্ত কোম্পানির পারফরম্যান্সকে ভিত্তি করে গণনা করা হয়।

নিফটি ৫০-এর গুরুত্ব

  1. বাজার বেঞ্চমার্ক:

    • এটি ভারতীয় শেয়ারবাজারের একটি মানদণ্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ড বা পোর্টফোলিও পারফরম্যান্স তুলনা করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
  2. অর্থনৈতিক সূচক:

    • এটি দেশের বৃহৎ ও গুরুত্বপূর্ণ কোম্পানিগুলির পারফরম্যান্স উপস্থাপন করে বলে নিফটি ৫০ ভারতীয় অর্থনীতির একটি প্রতিফলন।
  3. বিনিয়োগের মাধ্যম:

    • সূচকের উপর ভিত্তি করে বিভিন্ন বিনিয়োগ পণ্য যেমন ইনডেক্স ফান্ড, ETFs এবং ডেরিভেটিভস উপলব্ধ।
  4. ঝুঁকি বৈচিত্র্যকরণ:

    • নিফটি ৫০-এ বিনিয়োগ করে বিনিয়োগকারীরা বড় কোম্পানির একটি বৈচিত্র্যপূর্ণ ঝুড়িতে অংশ নিতে পারেন, যা ব্যক্তিগত শেয়ারের ঝুঁকি কমায়।

নিফটি ৫০-এর সুবিধা

  • বৈচিত্র্যকরণ: এটি বিভিন্ন সেক্টরকে কভার করে, সেক্টর-নির্দিষ্ট ঝুঁকি কমায়।
  • তরলতা: অন্তর্ভুক্ত শেয়ারগুলি অত্যন্ত তরল, যা লেনদেন সহজ করে।
  • স্বচ্ছতা: সূচকে অন্তর্ভুক্তি এবং কর্মক্ষমতার মানদণ্ড সুস্পষ্ট।
  • অ্যাক্সেসযোগ্যতা: নিফটি ভিত্তিক ETFs বা ইনডেক্স ফান্ডে বিনিয়োগ করা সহজ এবং সাশ্রয়ী।

নিফটি ৫০-এ বিনিয়োগের পদ্ধতি

  1. সরাসরি শেয়ার কেনা:

    • আপনি নিফটি ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত শেয়ারগুলি সরাসরি কিনতে পারেন।
  2. ইনডেক্স ফান্ড এবং ETFs:

    • এগুলি নিফটি ৫০-এর পারফরম্যান্স অনুকরণ করার জন্য তৈরি মিউচুয়াল ফান্ড বা ETFs।
  3. ডেরিভেটিভস:

    • নিফটি ৫০ সূচকের উপর ভিত্তি করে ফিউচার এবং অপশন লেনদেনের সুযোগ পাওয়া যায়।
  4. সিস্টেমেটিক ইনভেস্টমেন্ট প্ল্যান (SIPs):

    • অনেক মিউচুয়াল ফান্ড কোম্পানি নিফটি ৫০ ইনডেক্স ফান্ডে SIP-এর সুবিধা দেয়, যা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য সাশ্রয়ী।

বর্তমান প্রবণতা এবং ব্যবহার

  • বিনিয়োগকারী এবং বিশ্লেষকরা নিফটি ৫০-কে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, কারণ এটি স্থানীয় ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, রাজনৈতিক ঘটনা এবং কর্পোরেট কর্মক্ষমতার উপর সংবেদনশীল।
  • সূচকটি বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী (FIIs) এবং দেশীয় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের (DIIs) বৃহৎ বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলে।

নিফটি ৫০ সম্পর্কে সচেতন থেকে বিনিয়োগকারীরা তাদের শেয়ারবাজার বিনিয়োগ এবং পোর্টফোলিও কৌশল সম্পর্কে আরও সুচিন্তিত সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

NIFTY 50 কি ? খায় না মাথায় মাখে ? NIFTY 50 কি ? খায় না মাথায় মাখে ? Reviewed by Wisdom Apps on ডিসেম্বর ০৭, ২০২৪ Rating: 5

সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধনযোগ্য কি? বিস্তারিত বিশ্লেষণ

ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪

সংবিধানের প্রস্তাবনা কি সংশোধন করা যায়? এটি একটি বিতর্কিত বিষয়, যা ৩৬৮ নং ধারার আওতায় বিভিন্নভাবে আলোচিত হয়েছে। সুপ্রিমকোর্ট বিভিন্ন মামলায় এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছে। এখানে আমরা এই প্রশ্নের উত্তর এবং প্রাসঙ্গিক মামলাগুলোর বিচার বিশ্লেষণ উপস্থাপন করছি।




৩৬৮ নং ধারা অনুযায়ী প্রস্তাবনা সংশোধনের প্রশ্ন

প্রস্তাবনা সংবিধানের কার্যকরী অংশ নয় বলে অনেক সময় দাবি করা হয়। ১৯৬০ সালে বেরুবাড়ি মামলায় সুপ্রিমকোর্ট এমনটাই রায় দিয়েছিল। তবে, ১৯৭৩ সালের ঐতিহাসিক কেশবানন্দ ভারতী বনাম কেরালা রাজ্য মামলায় এই বিষয়ের পুনর্মূল্যায়ন হয়। মামলায় আবেদনকারী যুক্তি দেন যে, সংবিধানের ৩৬৮ নং ধারায় প্রদত্ত সংশোধনের ক্ষমতা সীমাহীন নয় এবং প্রস্তাবনায় উল্লিখিত মৌলিক উপাদান বা নীতিগুলো (basic features) ক্ষতিগ্রস্ত করা যায় না।

অ্যাটর্নি জেনারেল এই যুক্তির বিরোধিতা করেন এবং বলেন যে, প্রস্তাবনা সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সুতরাং, ৩৬৮ নং ধারার মাধ্যমে এটি সংশোধন করা সম্ভব।


সুপ্রিমকোর্টের ঐতিহাসিক রায়

কেশবানন্দ ভারতী মামলায় সুপ্রিমকোর্টের রায়ে বলা হয়:

  1. প্রস্তাবনা সংবিধানের অংশ হলেও এটি সংশোধনযোগ্য।
  2. তবে, মৌলিক বৈশিষ্ট্যগুলি (basic features) সংশোধন করা যাবে না।

এই রায়ে সুপ্রিমকোর্ট মন্তব্য করে, "প্রস্তাবনায় উল্লিখিত মৌলিক উপাদানগুলির ওপর ভিত্তি করেই ভারতীয় সংবিধানের কাঠামো দাঁড়িয়ে আছে।"


৪২-তম সংবিধান সংশোধন এবং প্রস্তাবনায় পরিবর্তন

১৯৭৬ সালে ৪২-তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে প্রস্তাবনায় 'সমাজতান্ত্রিক', 'ধর্মনিরপেক্ষ' এবং 'সংহতি' শব্দগুলো যোগ করা হয়।

  • এই সংশোধন সংবিধানের মৌলিক আদর্শগুলিকে শক্তিশালী করেছে।
  • যেমন, 'সমাজতন্ত্র' শব্দটি সংযোজন আদালতসমূহকে শিল্পের জাতীয়করণে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করে।

এগুলো প্রমাণ করে, ৪২-তম সংশোধন সুপ্রিমকোর্টের রায়কে সমর্থন করেছিল।


উপসংহার

সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধনযোগ্য হলেও এর মৌলিক বৈশিষ্ট্য অপরিবর্তনীয়। প্রস্তাবনায় সংযোজিত যে-কোনো পরিবর্তন অবশ্যই সংবিধানের মূল কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হতে হবে।

 আরও জানতে চান? আমাদের এই সাইট টি সেভ করুন!



সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধনযোগ্য কি? বিস্তারিত বিশ্লেষণ সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধনযোগ্য কি? বিস্তারিত বিশ্লেষণ Reviewed by Wisdom Apps on ডিসেম্বর ০৩, ২০২৪ Rating: 5

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী কি কি ? সংক্ষেপে জেনে নিন

নভেম্বর ৩০, ২০২৪

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা: ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী



ভারতের রাষ্ট্রপতি হলেন দেশের সর্বোচ্চ সাংবিধানিক প্রধান। তিনি ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী দেশের সমস্ত কার্যাবলীর উপর নিয়ন্ত্রণ রক্ষাকারী ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা মূলত তিনটি বিভাগে বিভক্ত—সাংবিধানিক, কার্যনির্বাহী এবং বিচারিক। এই ব্লগ পোস্টে আমরা বিস্তারিতভাবে ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলীর উপর আলোকপাত করব।


১. সাংবিধানিক ক্ষমতা (Constitutional Powers)

রাষ্ট্রপতি ভারতীয় গণতন্ত্রের প্রধান প্রতীক। তাঁর সাংবিধানিক ক্ষমতা দেশ পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ:

  • আইন প্রণয়ন: সংসদে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির অনুমোদন ছাড়া আইনে পরিণত হতে পারে না।
  • সংসদ ভঙ্গ ও আহ্বান: তিনি সংসদের অধিবেশন আহ্বান বা ভঙ্গ করতে পারেন।
  • জরুরি অবস্থা ঘোষণা: সংবিধানের ৩৫২, ৩৫৬ এবং ৩৬০ ধারায় তিনি জাতীয়, রাষ্ট্রিক বা আর্থিক জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
  • শপথবাক্য প্রদান: প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিসভার সদস্য, এবং বিভিন্ন উচ্চপদস্থ ব্যক্তিকে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির।

২. কার্যনির্বাহী ক্ষমতা (Executive Powers)

রাষ্ট্রপতির কার্যনির্বাহী ক্ষমতা দেশের প্রশাসনিক কার্যাবলীর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ:

  • প্রধানমন্ত্রীর নিয়োগ: সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ করা হয়।
  • গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ: সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতি, রাজ্যপাল, সেনাপ্রধান প্রমুখ উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়োগ করেন।
  • পরামর্শ গ্রহণ: তিনি মন্ত্রিসভার পরামর্শে কাজ করেন, তবে কিছু বিষয়ে নিজের বিবেচনা ব্যবহার করতে পারেন।

৩. বিচারিক ক্ষমতা (Judicial Powers)

রাষ্ট্রপতির বিচারিক ক্ষমতা তাঁকে জাতির ক্ষমাশীল নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে:

  • ক্ষমা ঘোষণা: রাষ্ট্রপতি মৃত্যুদণ্ড সহ বিভিন্ন শাস্তি মকুব করতে পারেন।
  • আবেদন গ্রহণ: উচ্চ আদালতে পেন্ডিং কেসগুলির জন্য আবেদন গ্রহণ করতে পারেন।

৪. জরুরি অবস্থায় ক্ষমতা (Emergency Powers)

জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি অতিরিক্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন:

  • জাতীয় জরুরি অবস্থা: দেশের অভ্যন্তরীণ বা বাহ্যিক বিপদের সময় তিনি ৩৫২ ধারা অনুসারে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারেন।
  • রাষ্ট্রপতি শাসন: ৩৫৬ ধারা অনুসারে রাজ্যে প্রশাসনিক বিপর্যয় ঘটলে রাষ্ট্রপতি শাসন চালু করতে পারেন।
  • আর্থিক জরুরি অবস্থা: দেশের অর্থনৈতিক সঙ্কটের সময় ৩৬০ ধারা প্রয়োগ করা হয়।


৫. প্রতীকী ক্ষমতা (Symbolic Powers)

রাষ্ট্রপতি দেশের প্রতীকী প্রধান। তিনি বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানদের স্বাগত জানানো এবং আন্তর্জাতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করার ক্ষমতা রাখেন।

উপসংহার

ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি গভীর প্রভাব ফেলে। যদিও তাঁর বেশিরভাগ ক্ষমতা প্রতীকী, তবুও জরুরি পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি কার্যত ভারতীয় গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ হিসেবে কাজ করেন। সংবিধানের এই সর্বোচ্চ সাংবিধানিক পদটি দেশের স্থিতিশীলতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক।



ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী কি কি ? সংক্ষেপে জেনে নিন ভারতের রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা ও কার্যাবলী কি কি ? সংক্ষেপে জেনে নিন Reviewed by Wisdom Apps on নভেম্বর ৩০, ২০২৪ Rating: 5

পরকীয়া প্রেম- বউ অন্য পুরুষের প্রেমে পড়েছে ? ভারতীয় আইন অনুযায়ী আপনি কী করতে পারেন?

নভেম্বর ২৬, ২০২৪

ভারতীয় সমাজে বিবাহ একটি পবিত্র বন্ধন হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে যদি এই সম্পর্ক ভাঙনের মুখোমুখি হয় এবং কোনো স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের বিষয়টি সামনে আসে, তাহলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া একজন স্বামীর অধিকার। ভারতীয় আইন অনুসারে, এই বিষয়ে একটি স্পষ্ট কাঠামো রয়েছে যা ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষের ন্যায্যতা সুনিশ্চিত করে।

porokiya_prem


পরকীয়া প্রেম ও ভারতীয় আইন

ভারতে ২০১৮ সালের আগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৭ ধারা অনুযায়ী, পরকীয়া প্রেম একটি অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হতো। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই ধারাটিকে বাতিল করেছে এবং সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে, পরকীয়া প্রেম শুধুমাত্র বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি হতে পারে, তবে এটি ফৌজদারি অপরাধ নয়। এই রায় অনুযায়ী:

  1. পরকীয়ায় অপরাধমূলক শাস্তি নেই:
    ৪৯৭ ধারা বাতিল হওয়ায়, এখন পরকীয়ার জন্য স্বামী বা স্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা সম্ভব নয়। ফৌজদারি মামলা কি ? এটা হল আইন লঙ্ঘনের কারণে দায়ের করা মামলা, যেখানে অপরাধের শিকার ব্যক্তি বা রাষ্ট্র অপরাধীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনে। এতে সাধারণত হত্যা, চুরি, প্রতারণা, বা শারীরিক আঘাতের মতো গুরুতর অপরাধ অন্তর্ভুক্ত হয়। ফৌজদারি মামলার তদন্ত পুলিশের মাধ্যমে পরিচালিত হয় এবং অপরাধ প্রমাণ হলে অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়। এ ধরনের মামলায় অভিযুক্তের অপরাধ প্রমাণের দায়িত্ব প্রসিকিউশনের উপর থাকে। শাস্তি হিসেবে কারাদণ্ড, জরিমানা, বা উভয় দণ্ড হতে পারে। কিন্ত ;পরকীয়ায় এখন আর ফৌজদারি শাস্তি নেই । 

  2. বিবাহবিচ্ছেদের ভিত্তি:
    যদি স্বামী মনে করেন যে স্ত্রীর পরকীয়া প্রেমের কারণে বিবাহ অগ্রহণযোগ্য হয়ে পড়েছে, তবে তিনি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করতে পারেন। কিন্ত বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য কি কি করতে হবে জেনে নিন - 

স্বামীর করণীয়

যদি স্ত্রীর পরকীয়া প্রেম ধরা পড়ে, তাহলে স্বামী নিম্নলিখিত আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন:

১. বিবাহবিচ্ছেদ মামলা দায়ের করুন:

ভারতীয় বিবাহ আইন (Hindu Marriage Act, 1955 বা Special Marriage Act, 1954 অনুযায়ী) অনুযায়ী, “পরকীয়া” বা বিবাহের বাইরে সম্পর্ক বিবাহবিচ্ছেদের জন্য একটি বৈধ কারণ। এই প্রক্রিয়ায়:

  • তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ: স্ত্রীর পরকীয়ার যথাযথ প্রমাণ, যেমন চ্যাটের স্ক্রিনশট, কল রেকর্ড, বা সাক্ষীর বিবৃতি।
  • আইনি পরামর্শ গ্রহণ: একজন দক্ষ আইনজীবীর সাহায্যে কোর্টে আবেদন করা।

২. যৌথ সম্পত্তি ও সন্তানের অধিকার নিয়ে লড়াই করুন:

  • যদি বিবাহবিচ্ছেদ হয়, তাহলে যৌথ সম্পত্তি এবং সন্তানের হেফাজত নিয়ে স্বামীর অধিকার সুরক্ষিত থাকে।
  • কোর্ট সন্তানের হেফাজত নির্ধারণে সন্তানের মঙ্গলকে প্রাধান্য দেয়।

৩. মানসিক নির্যাতনের মামলা দায়ের করুন:

পরকীয়া প্রেমের ফলে যদি মানসিক বা সামাজিক অপমান ঘটে, তাহলে Domestic Violence Act, 2005 অনুযায়ী স্বামী মামলা করতে পারেন।

Domestic Violence Act, 2005 হল একটি ভারতীয় আইন যা ঘরোয়া নির্যাতন থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মহিলাদের অধিকার সুরক্ষিত করে। এই আইনে, শারীরিক, মানসিক, যৌন, অর্থনৈতিক এবং মানহানিকর আচরণকে ঘরোয়া নির্যাতন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্যাতিত মহিলা আইনি সাহায্য পেতে পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করতে পারেন। আইনটি মহিলাদের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, যেমন পিআরওটেকশন অর্ডার, রেসিডেন্সিয়াল অর্ডার এবং অন্যান্য সহায়তা। এটি মহিলাদের জন্য নিরাপত্তা এবং সহায়তার পথ খুলে দেয়, যাতে তারা তাদের অধিকার ফিরে পেতে পারে।

৪. মধ্যস্থতার চেষ্টা করুন:

বিবাহবিচ্ছেদের আগে যদি উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাতে চান, তাহলে পারিবারিক আদালতের মাধ্যমে মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া শুরু করা যেতে পারে।

পরামর্শ ও সতর্কতা

  • আইনি পরামর্শ নিন: কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে একজন আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।
  • তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করুন: আদালতে কোনো অভিযোগ তুলে ধরার আগে সঠিক প্রমাণ থাকা অপরিহার্য।
  • সন্তানের ভবিষ্যৎ বিবেচনা করুন: সন্তানের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব না পড়ে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করুন।
  • মীমাংসার চেষ্টা করুন: বিচ্ছেদের চেয়ে সমঝোতার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান অনেক সময় মঙ্গলজনক হতে পারে।

উপসংহার

ভারতীয় আইন অনুযায়ী, পরকীয়া প্রেম এখন আর অপরাধ হিসেবে গণ্য না হলেও এটি বিবাহবিচ্ছেদের একটি বড় কারণ হতে পারে। তাই এ বিষয়ে যেকোনো পদক্ষেপ নেওয়ার আগে ভাবনাচিন্তা করা জরুরি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি, সমস্যার অন্তর্নিহিত কারণগুলো বিশ্লেষণ করে সমাধান খুঁজতে চেষ্টা করা উচিত।

পরকীয়া প্রেম- বউ অন্য পুরুষের প্রেমে পড়েছে ? ভারতীয় আইন অনুযায়ী আপনি কী করতে পারেন? পরকীয়া প্রেম- বউ অন্য পুরুষের প্রেমে পড়েছে ? ভারতীয় আইন অনুযায়ী আপনি কী করতে পারেন? Reviewed by Wisdom Apps on নভেম্বর ২৬, ২০২৪ Rating: 5

Kendriyo Sarkarer Prokolpo - কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প All Schemes of Indian Government

নভেম্বর ২৩, ২০২৪

কেন্দ্রিয় সরকারের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প গুলির তালিকা 




প্রকল্পের নাম: প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা

সূচনাকাল : 2000 সালে কার্যকর করা হয়; III পর্যায়টি 2019 সালে কার্যকর করা হয়েছিল III পর্যায়ের সময়কাল 2019-20 থেকে 2024-25 পর্যন্ত

উদ্দেশ্য : এলাকার সামগ্রিক অর্থ-সামাজিক উন্নয়নের জন্য মনোনীত জনসংখ্যার (সমতল এলাকায় 500+ এবং উত্তর-পূর্ব, পাহাড়ী, উপজাতীয় এবং মরুভূমি অঞ্চলে 250+) যোগ্য অসংযুক্ত বসতিতে সকল আবহাওয়ার উপযুক্ত সড়ক সংযোগ প্রদান করা।

বিস্তারিত বিবরণ : PMGSY-III প্রকল্পের আওতায় রাজ্যগুলিতে 1,25,000 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তা একত্রিত করার প্রস্তাব করা হয়েছে; শুরু থেকে 2019 সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট 5,99,090 কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের রাস্তা এই প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়েছে।


প্রকল্পের নাম: শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি রুরবান মিশন (SP- MRM)

সূচনাকাল : 2016 সালে কার্যকর হয়

উদ্দেশ্য : স্থানীয় অর্থনৈতিক উন্নয়নকে উদ্দীপিত করা, প্রাথমিক পরিষেবাগুলি উন্নত করা এবং সুপরিকল্পিত রুরবান ক্লাস্টার গঠন করা।

বিস্তারিত বিবরণ : এটি সারা দেশ জুড়ে থিম সম্পর্কিত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির বিষয় সহ 300টি গ্রামীণ বৃদ্ধির ক্লাস্টার তৈরি করার লক্ষ্য রাখে; একটি “রুরবান ক্লাস্টার” হল ভৌগলিকভাবে সংলগ্ন গ্রামগুলির একটি সমষ্টি যার জনসংখ্যা সমতল ও উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় 25000 থেকে 50000 এবং মরুভূমি, পাহাড়ি বা উপজাতীয় এলাকায় জনসংখ্যা 5000 থেকে 15000; প্রতিটি রুরবান ক্লাস্টারকে ক্রিটিক্যাল গ্যাপ কান্ডিং (CGF) হিসাবে তহবিল সহায়তা দেওয়া হয় ৷

অর্থ মন্ত্রণালয়

প্রকল্পের নাম: রপ্তানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক ও কর মওকুফের পরিকল্পনা (RODTEP)


সূচনাকাল : 2021 সালে।

উদ্দেশ্য : আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি বাড়ানোর জন্য রপ্তানি বৃদ্ধির পরিকল্পনা।

বিস্তারিত বিবরণ : এই প্রকল্পটি WTO-সম্মত এবং এটি পূর্ববর্তী মার্চেন্ডাইজ এক্সপোর্ট ক্রম ইন্ডিয়া স্কিম (MEIS) এবং রিবেট অফ স্টেট অ্যান্ড সেন্ট্রাল ট্যাক্সেস অ্যান্ড লেভিস (ROSCTL)-কে প্রতিস্থাপিত করেছিল; এটি রপ্তানিকারকদের অনুবিদ্ধ কেন্দ্রীয়, রাজ্য এবং স্থানীয় শুল্ক/করগুলি, যা এখনও অবধি রেয়াত করা হয়নি/ ফেরত দেওয়া হয়নি এবং যা রপ্তানিকে একটি অসুবিধার মধ্যে রেখেছিল, তা ফেরত দেবে।

        ROSCTL (2019) রিবেট অফ স্টেট অ্যান্ড সেন্ট্রাল ট্যাক্সেস অ্যান্ড লেভিস (RosCTL) প্রকল্প অনুবিদ্ধ রাজ্য এবংকেন্দ্রিয় শুল্ক ও করের জন্য প্রদান করা হয়েছিল যা এই বিভাগের প্রতিযোগিতামুলকতা বাড়ানোর জন্য পোশাক এবংমেক আপের রপ্তানিতে গুড্স অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্স (GST) এর মাধ্যমে ফেরত দেওয়া হয়নাএই প্রকল্পের অধীনে রপ্তানিকারকদের রপ্তানিকৃত পন্যের মধ্যে থাকা অনুবিদ্ধ কর এবং শুল্কের মুল্যের জন্য একটি ডিউটি ক্রেডিড স্ক্রিপ্ট জারি করা হয়। রপ্তানিকৃত এই স্ক্রিপ্টটি ব্যাবহার করে সরঞ্জাম, যন্ত্রপাতি বা অন্য কোনো আমদানির জন্য প্রাথমিক কাস্টম সহ শুল্ক প্রদান করতে পারে


প্রকল্পের নাম: স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া প্রকল্প


সূচনাকাল : 2016 সালে।

উদ্দেশ্য : তফসিলি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলি (SCBS) থেকে তপশিলি জাতি (SC) বা তফসিলি উপজাতি (ST) ঋণগ্রহীতাদের এক সক্রিয় ঋণগ্রহীতাদের জন্য কৃষি সম্পর্কিত কার্যকলাপ, উৎপাদন, পরিষেবা এবং বানিজ্যিক বিভাগে একটি গ্রিনফিল্ড এন্টারপ্রাইজ স্থাপনের জন্য 10 লক্ষ থেকে 1 কোটি টাকা মুল্যের ঋনের সুবিধা প্রদান করা

বিস্তারিত বিবরণ : অন্যথায় প্রযোজ্য হারের ভু হারে ব্যাংক ঋণ প্রদান করে; সর্বোচ্চ 18 মাসের মোরে মেয়াদ সহ 7 বছরে ঋণ পরিশোধযোগ্য; সরকার কর্তৃক নির্মিত গ্যারান্টি ফান্ড ফর স্ট্যান্ড আপ ইন্ডিয়া (CGFSI): SIDBI এবং NABARD অফিসগুলিকে স্ট্যান্ড-আপ সংযোগ কেন্দ্র হিসাবে মনোনিয়োগ করা হয়েছে।


প্রকল্পের নাম: প্রধানমন্ত্রী ভায়া বন্দনা যোজনা (PM)


সূচনাকাল : 2017 সালে।

উদ্দেশ্য : বৃদ্ধ বয়সে সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করা এবং বাবার অনিশ্চিত অবস্থার কারণে ভবিষ্যতে তাদের সুদের আয় হ্রাস হয়ে গেলে বয়স্ক ব্যক্তিদের সুরক্ষা প্রদান করা ।

বিস্তারিত বিবরণ : লাইফ ইন্স্যুরেন্স কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়ার ন নিশ্চিত পেনশন প্রকল্পে বাস্তবায়িত করা; শুধুমাত্র প্রবীণ নাগরিকদের উপলব্ধ (60 বছরের বেশি বয়সী); বিনিয়োগের সর্বনিম্ন এবং পরে সীমা যথাক্রমে 1.56 লক্ষ এবং 15 লক্ষ টাকায় নির্ধারণ করে; বেশ 10 বছরের জন্য মেয়াদপূর্তির সময়ে মূল ফেরত সহ পেনশন প্রবনে গ্যারান্টি দেয়; অবদান/বিনিয়োগের উপর ভিত্তি করে প্রতি মাসে টাকা থেকে প্রতি মাসে 12,000 টাকা পর্যন্ত একটি নিশ্চিত পেনশন দেন


প্রকল্পের নাম: প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা ()


সূচনাকাল : 2017 সালে।

উদ্দেশ্য : ব্যাঙ্কবিহীনদের কাছে ফিনান্সের অ্যাক্সেস বৃদ্ধি করা লাস্ট মাইল ফিনান্সারদের থেকে মাইক্রো/স্মল এন্টারপ্রাইজদের চা ফিনান্সের খরচ হ্রাস করা।

বিস্তারিত বিবরণ : উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, বাণিজ্য বা পরিয়ে বিভাগের মতো কার্যকলাপে নিযুক্ত এবং যাদের 10 লক্ষ টাকার ঋণের প্রয়োজন, সেই সকল ভারতীয় নাগরিকদের ঋণ দেওয়া হয়; ইউনিট ন্য ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড রিফাইনান্স এজেন্সি লিমিটেড (MUDRI জন্য প্রদান করা হয়েছিল, যা এই বিভাগের প্রতিযোগিতামূলকতা কোম্পানি আইন 2013 এর আওতায় একটি নিবন্ধিত কোম্পানি হিসেবে এবং RBI-এর সাথে একটি নন-ব্যাঙ্কিং ফিনান্স ইনস্টিটিউশন হিসেবে প্রকল্পটিকে কার্যকর করে তোলার জপ্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, MUDY প্রাথমিকভাবে স্মল ইন্ডাস্ট্রিস ডেভেপমেন্ট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (SIDS) জনসাধারণকে সিসিটিভি নজরদারির মাধ্যমে স্বচ্ছ উপায়ে তুলনামূলকভাবে সহজে পরিবহন পরিষেবা পেতে সহায়তা করেছে।


প্রকল্পের নাম: পথদিশা


বিশদ বিবরণ : পথদিশা হল মাল্টি-মডেল পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহারকারী যাত্রীদের জন্য একটি বিনামূল্যের ইউটিলিটি অ্যাপ। এটি প্রাথমিকভাবে কলকাতা মেট্রোপলিটন এলাকা জুড়ে চালু করা হয়েছে। এটি ধীরে ধীরে পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য অংশে চালু করা হচ্ছে। যাত্রীরা তাদের বর্তমান অবস্থানের কাছাকাছি বা একটি নির্দিষ্ট স্থানে বাস, ট্রাম ইত্যাদি ট্র্যাক করতে পারে এবং তার প্রাসঙ্গিক বিবরণ পেতে পারে। নির্ধারিত স্থানে আগমনের প্রত্যাশিত সময় (ETA) সহ রুটের রিয়েল-টাইম ট্র্যাকিং উপলব্ধ রয়েছে। এই অ্যাপটি ক্রাউডসোর্স করা তথ্য ব্যবহার করে। এটি ট্র্যাফিক ঘনত্বের পরিপ্রেক্ষিতে যানবাহনগুলিকে স্থান দেয়।


• আদিবাসী উন্নয়ন বিভাগ (Department of Tribal Development)


→ প্রকল্পের নাম: জয় জোহর


সূচনাকাল : 2020

উদ্দেশ্য : তফসিলি উপজাতি শ্রেণীভুক্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের সামাজিক নিরাপত্তা প্রদান করা ।

যোগ্যতা :

• আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

• আবেদনকারীকে তফসিল উপজাতি বিভাগের অন্তর্গত হতে হবে।

আবেদনকারীর বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হতে হবে।

আবেদনকারীকে অন্য কোনো সামাজিক নিরাপত্তা পেনশন প্রকল্পের প্রাপক হওয়া উচিত নয় ।

এলাকা, মার্কেট কমপ্লেক্স এবং বাস স্ট্যান্ডে কুপন বিতরণের দিকে এটি ULB-এর একটি উদ্ভাবনী পদক্ষেপ।


জল সম্পদ তদন্ত বিভাগ এবং উন্নয়ন (Department of Water Resources Investigation and Development )


→ প্রকল্পের নাম: মাটির সৃষ্টি


সূচনাকাল : ২০২০

উদ্দেশ্য : বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া এবং বীরভূম এই ছয়টি পশ্চিমের জেলায় পতিত জমির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে কৃষকদের সাহায্য করা।

বিশদ বিবরণ : এই প্রকল্পটি উদ্যানপালন, মৎস্য, পশুপালন এবং WRI&D বিভাগের মতো বিভিন্ন বিভাগের সহায়তায়, প্রধানত শুষ্ক অঞ্চলে কৃষকদের অতিরিক্ত আয়ের জন্য এবং এর মাধ্যমে সম্প্রদায়ের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য উদ্যানপালন, মৎস্য এবং পশুপালনের মাধ্যমে পতিত জমিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করার লক্ষ্যে উপনিত হয় । এটি দরিদ্র মানুষের জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সক্রিয় করতে সাহায্য করে। ৫০ হাজার একর পরিমান এর কম উর্বর জমি ক্রয় করা হবে।




• নগর উন্নয়ন এবং পৌর বিষয়ক বিভাগ(Department of Urban Development and Municipal Affairs)


প্রকল্পের নাম: মা ক্যান্টিন


সূচনাকাল : 2021

উদ্দেশ্য : পশ্চিমবঙ্গের দরিদ্র নাগরিকদের তাদের পুষ্টির উন্নয়নের জন্য ভর্তুকিযুক্ত মানের রান্না করা খাবার সরবরাহ করা

বিশদ বিবরণ : রাজ্যের দরিদ্র এবং অভাবী নাগরিকদের রান্না করা মানসম্পন্ন খাবার সরবরাহ করার জন্য নগর স্থানীয় সংস্থা (ULB) দ্বারা সাধারণ রান্নাঘরগুলি-তে ৫/- টাকা মূল্যে সুবিধাভোগীদের খাবার পরিবেশন করা হবে। রাজ্য সরকারের ভর্তুকি খাবার প্রতি ১০/-। বস্তি

যোগ্যতা :

• সুবিধাভোগী মহিলাকে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

• তার বয়স হতে হবে ২৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে।

তিনি নিম্নলিখিত বিভাগের স্থায়ী বা অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারী হওয়া উচিত নয়

■ কেন্দ্রীয় সরকার

■ রাজ্য সরকার


সংবিধিবদ্ধ সংস্থা তার ভো সরকারী উদ্যোগ

■ পঞ্চায়েত

■ পৌরসভা

■ স্থানীয় সংস্থা

■ সরকারী সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক বা অশিক্ষক কর্মচারী।

নিয়মিত বেতন বা পেনশন প্রাপক নন

সুবিধা :

• লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অধীনে নিম্নলিখিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে

প্রতি মাসে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি মহিলাদের ₹ ১,০০০/- টাকা ৷

প্রতি মাসে তফসিলি জাতি/তফসিলি উপজাতি ছাড়া অন্য মহিলাদের জন্য ₹৫০০/- টাকা।


→ প্রকল্পের নাম: শিশু আলয় কেন্দ্র


সূচনাকাল : ২০১২

উদ্দেশ্য : “শিশু আলো” বা “শিশুদের আবাস” নামে পরিচিত মডেল অঙ্গনওয়ারী কেন্দ্রগুলির মাধ্যমে ICDS পরিষেবাগুলির প্রাক বিদ্যালয় শিক্ষা (PSE) প্রদান করা

বিশদ বিবরণ : কোয়ালিটি এক্সিলেন্স আর্লি চাইল্ডহুড কেয়ার অ্যান্ড এডুকেশন (ECEE) পশ্চিমবঙ্গে শিশু আলোয় নামে পরিচিত। অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকেই ৬ বছর বয়সে বাচ্চাদের বিদ্যালয়ের জন্য আরও ভালভাবে প্রস্তুত করার জন্য ICDS-এর PSE উপাদানকে পুনর্গঠন করা হয়েছে।উন্নত করা শিশু আলয় বলতে অঙ্গনওয়ারীতে কেন্দ্রগুলিতে আধুনিক পরিকাঠামো সহ উন্নত করা শিশু আলয়ের কিছু বৈশিষ্ট্য হল শ্রেনিকক্ষে প্রানবন্ত এবং রঙিন শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরী করা, বিশেষ ভাবে দক্ষ ও প্রশিক্ষিত শিক্ষক, আনন্দদায়ক কার্যকলাপ-ভিত্তিক পাঠ্যক্রম





কেন্দ্র সরকারের উল্লেখযোগ্য যোজনাসমূহ


রাজ্য স্তরে ভারত সরকার দ্বারা পরিচালিত কেন্দ্ৰীয় কল্যাণমূলক যোজনাগুলিকে মূলত দুটি শ্রেণীতে বিভক্ত করা যায় ৷

I. কেন্দ্র দ্বারা পৃষ্ঠপোষিত যোজনা

II. কেন্দ্রীয় খাতের যোজনা

    কেন্দ্রীয় খাতের যোজনাগুলির সম্পূর্ণ তহবিল কেন্দ্র সরকার প্রদান করলেও, কেন্দ্র দ্বারা পৃষ্ঠপোষিত যোজনাগুলি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ের মিলিত তহবিলে হয়ে থাকে।

    যদিও কেন্দ্র দ্বারা পৃষ্ঠপোষিত যোজনাগুলির ক্ষেত্রে তহবিল প্রদানের বিভিন্ন মডেল রয়েছে, তবে বেশির ভাগক্ষেত্রেই, সমস্ত রাজ্যের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার 60 : 40 অনুপাতে অর্থায়ন করে। উত্ত বিভাগের মধ্যে একটি সুবিন্যস্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করতে সাহায্য করা, এর ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি মসৃণভাবে এবং সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন হবে।


তথ্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক বিভাগ (Department of Information and Cultural Affairs)


→ প্রকল্পের নাম: লোক প্রসার প্রকল্প


উদ্দেশ্য : পশ্চিমবঙ্গের লোক শিল্পীদের সামাজিক নিরাপত্তা এবং একটি নির্দিষ্ট আয়ের উৎস প্রদান করা ।

যোগ্যতা :

আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে অথবা,

কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

আবেদনকারীকে লোকশিল্পী হতে হবে।

লোকশিল্পীর বয়স হতে হবে-

মাসিক উপবৃত্তির জন্য ১৮ বছর থেকে ৬০ বছর।

■ মাসিক পেনশনের জন্য ৬০ বছর বা তার বেশি।

• আবেদনকারীকে একজন নিবন্ধিত লোকশিল্পী হতে হবে।

সুবিধা :

পশ্চিমবঙ্গ লোক প্রসার প্রকল্পের অধীনে যোগ্য লোক শিল্পীদের নিম্নলিখিত আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হবে

প্রতি মাসে লোকশিল্পীকে ১,০০০/- টাকা বৃত্তি প্রদান। (বয়স ১৮ বছর থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে)

প্রতি মাসে লোকশিল্পীকে ১,০০০/- টাকা মসিক পেনসন (বয়স ৬০ বা তার বেশি হতে হবে )

প্রতি প্রোগ্রাম সক্রিয়ভাবে পরিবেশন করার জন্য ১,০০০/- টাকা পারফরম্যান্স ফ্রি প্রদান


তথ্য প্রযুক্তি ও ইলেকট্রনিক্স বিভাগ (Department of Information Technology & Electronics)


প্রকল্পের নাম: কর্মভূমি


বিশদ বিবরণ : কর্মভূমি হল একটি অনন্য দক্ষতা রেজিস্ট্রি প্ল্যাটফর্ম যেখানে আইটি এবং আইটিই সেক্টরে প্রায় ৫০,০০০ দক্ষ মানব `সম্পদ রয়েছে। এটি আইটি এবং আইটিই সেক্টরে চাকরি প্রার্থা এবং নিয়োগকারীদের মধ্যে একটি লিঙ্ক তৈরি করে। আইটি এবং আইটিই দক্ষ কর্মচারীরা এই পোর্টালের মাধ্যমে নিজেদের তালিকাভুক্ত করতে পারে। ইচ্ছুক নিয়োগকর্তারা এই পোর্টালে যান এবং তাদের প্রয়োজনীয়তার

উপর ভিত্তি করে দক্ষ কর্মী নির্বাচন করেন।


শ্রম বিভাগ (Department of Labour)


প্রকল্পের নাম: স্নেহলয়


সূচনাকাল : ২০২০

উদ্দেশ্য : পশ্চিমবঙ্গের অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা লোকেরা যারা সরকারের পূর্ববর্তী আবাসন প্রকল্প - বাংলা আবাস যোজনার অন্তর্ভুক্ত নয় তাদের আবাসন সুবিধা প্রদান করা।

বিশদ বিবরণ : পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের সমস্ত লোক যারা “দিদি কে বোলে৷”পোর্টালে তাদের অভিযোগ দায়ের করেছেন তাদের কে বাড়ি দেওয়া হবে। সুবিধাভোগীর একটি বাড়ি নির্মাণের জন্য ১.২ লাখের এককালীন আর্থিক সহায়তা ২৫ বর্গমিটার বিল্ড আপ এলাকা সহ বিল্ড আপ এলাকা সহ আবাসিক ইউনিটের আকার এবং নকশা প্রায় জমির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা


→ প্রকল্পের নাম: সামাজিক মুক্তি

উদ্দেশ্য :

• কর্মীদের কল্যাণকর প্রকল্পের আওতায় আনা ৷

• উপলব্ধ তহবিল এর সদ্যবহার করা।

যোগ্যতা :

আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে।

• আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

• পারিবারিক আয় প্রতি মাসে ৬৫,০০০/- টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় ।

সুবিধা :

• সামাজিক মুক্তি কার্ডের সুবিধা পাবেন।

• রাজ্য সরকার পরিচালিত তিনটি প্রকল্পের অধীনে কর্মীদের সুবিধা প্রদানের জন্য এই কার্ডটি ব্যবহার করা হয়েছে

অসংগঠিত শ্রমিকদের (SASPFUW) জন্য ভবিষ্যত তহবিলের রাজ্য সহায়তা প্রকল্প

• বিল্ডিং ও অন্যান্য নির্মান কার্যে যুক্ত শ্রমিক কল্যান প্রকল্প

মোটর পরিবহন শ্রমিক কল্যান প্রকল্প




ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগ (Department of Land and Land Reforms and Refugee Relief & Rehabilitation)


প্রকল্পের নাম: বাংলার ভূমি


বিশদ বিবরণ : অনলাইনে ভূমি রাজস্ব সংক্রান্ত সেবা প্রদানের জন্য ২০১৪ সালে বাংলারভূমি চালু করা হয়েছিল। এটি স্বচ্ছতার সাথে পরিষেবা সহজলভ্যতা উন্নত করতে কাজ করে। সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিষেবা, যেমনপ্লট তথ্য, ROR-এর সার্টিফাইড কপি, প্লট ম্যাপ এবং লেনদেন পরিষেবা যেমন মিউটেশন, রূপান্তর, খাজনা, ও পেমেন্ট বাংলার ভুমি পোর্টালের মাধ্যমে বিতরনের করা হচ্ছে


মাইক্রো স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজ এবং টেক্সটাইল বিভাগ (Department of Micro, Small and Medium Enterprises and Textiles)


প্রকল্পের নাম: বিশ্ব বাংলা


সূচনাকাল : ২০১৪

উদ্দেশ্য : বিভিন্ন পণ্যের বিপণন উন্নীত করা যেমন। হস্তশিল্প, খাদ্য সামগ্রী, পোশাক ইত্যাদি।

বিশদ বিবরণ : বিশ্ব বাংলা হল একটি MSME এন্টারপ্রাইজ যা পশ্চিমবঙ্গে হস্তশিল্প এবং বস্ত্রের প্রচারের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত। ২০১৩ সালে বিশ্ব বাংলা রাজ্যের প্রায় মৃতপ্রায় শিল্পের পুনরুদ্ধার করে। ব্র্যান্ডের অধীনে পণ্য বিক্রির প্রথম দোকানটি ২০১৪ সালে কলকাতায় চালু করা হয়। বিশ্ব বাংলার সংগ্রহে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ২৪ ধরনের পুতুল সহ ৫,০০০ টিরও বেশি পণ্য রয়েছে। বিশ্ববাংলার ব্র্যান্ডিং-এর অধীনে উল্লেখযোগ্য পণ্যগুলি হল ইন্দো-পর্তুগিজ শাল, দার্জিলিং চা, মুখোশ, কালিম্পং পনির, কালিম্পং ফিল্টার কফি, দার্জিলিং চা, গোবিন্দভোগ চাল এবং সুন্দরবনের রাধাতিলক চাল, চিটপুর আতর, তুলাইপাঞ্জি চাল, হিমালয় চিরতা, আম কাসুন্দি, আমলকি দিয়ে তৈরি মিছরি, এবং সুন্দরবনের মধু ইত্যাদি।

বিশ্ব বাংলার নিম্নলিখিত শোরুম রয়েছে

• পার্ক স্ট্রিট (অক্সফোর্ড বইয়ের দোকানের পাশে)

ঢাকুরিয়া (দক্ষিণাপন )

• Mishti হাব, নিউ টাউন (ইকো পার্কের পাশে)

• অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর, কলকাতা

• আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, কলকাতা

• সিটি সেন্টার, সল্টলেক

• বাগডোগরা বিমানবন্দর

দার্জিলিং

• নতুন দিল্লি

সদর দফতর : বিশ্ব বাংলা মার্কেটিং কর্পোরেশন লিমিটেড (MSME টেক্সটাইল বিভাগের অধীনে,পশ্চিমবঙ্গ সরকার)


প্রকল্পের নাম: আর্টিসান ক্রেডিট কার্ড

সূচনাকাল : 2021

উদ্দেশ্য : নমনীয় এবং সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে বিনিয়োগের পাশাপাশি কার্যকরী মূলধন, উভয়ের জন্য তাদের ঋণের প্রয়োজনীয়তা পূরণ করতে কারিগরদের পর্যাপ্ত এবং সময়মত সহায়তা প্রদান করা


প্রকল্পের নাম: তাঁতী সাথী

বিশদ বিবরণ : এই প্রকল্পের অধীনে, নতুন পিট তাঁত এবং আনুষাঙ্গিক

যন্ত্রপাতি হস্তচালিত তাঁতীদের এবং খাদি তাঁতীদেরকে সরবরাহ করা হয়েছিল। এর মাধ্যমে তারা নতুন নক্সা তৈরি করতে এবং কৌশল বিকাশ করতে সক্ষম হবেন।

প্রকল্পের নাম: মাদুরকাঠি

বিশদ বিবরণ : পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় এই জীবিকা উন্নয়ন কর্মসূচি WBKVIB দ্বারা বাস্তবায়িত হচ্ছে


প্রকল্পের নাম: ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড

সূচনাকাল : ২০২৩

উদ্দেশ্য : পশ্চিমবঙ্গের যুবকদের আর্থিক সহায়তা এবং স্ব-কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা । এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল যোগ্য সুবিধাভোগীদের একটি ক্রেডিট কার্ড প্রদান করা ।

যোগ্যতা :

• আবেদনকারীকে অবশ্যই ভারতের নাগরিক হতে হবে।

আবেদনকারীকে অবশ্যই রাজ্যের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে এবং ১০ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে থাকতে হবে।

একটি পরিবার থেকে শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি এই প্রকল্পের জন্য যোগ্য হবেন।

• মোটর পরিবহন শ্রমিক এবং ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী বাসস্থান ও অন্যান্য নির্মাণ কাজে যুক্ত শ্রমিকরাও এর যোগ্য।

সুবিধা :

প্রকল্প ব্যয় হিসেবে দেওয়া হবে ৫ লাখ টাকা

সরকার ১০% পর্যন্ত মার্জিন মূল্যে ভর্তুকি প্রদান করে

সরকার কর্তৃক প্রত্যেক সুবিধাভোগী সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাবেন।


প্রকল্পের নাম: কর্ম সাথী

সূচনাকাল : ২০২০

উদ্দেশ্য : কাজের সুযোগ তৈরি করতে এবং পরিষেবা ও ট্রেডিং সহ নতুন উৎপাদন উদ্যোগ এবং ছোট ব্যবসা স্থাপনে রাজ্যের তরুণ উদ্যোক্তাদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ।

যোগ্যতা :

আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

• আবেদনকারীর বয়স ১৮ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

• আবেদনকারীর শিক্ষাগত যোগ্যতা ন্যূনতম অষ্টম শ্রেণি হতে হবে।

একটি পরিবারের শুধুমাত্র একজন সদস্য এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করার যোগ্য হবেন।

• উৎপাদন, পরিষেবা এবং ব্যবসায় স্ব-কর্মসংস্থানের জন্য গৃহীত যে কোনও নতুন আয় সৃষ্টিকারী কার্যকলাপ এই প্রকল্পের অধীনে সহায়তার জন্য যোগ্য হবে।

সুবিধা :

এই প্রকল্পের জন্য ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হবে।

• প্রকল্পের জন্য সরকার নিম্নলিখিত উপায়ে ভর্তুকি প্রদান করবে।

ভর্তুকি বর্ণনা

প্রকল্প ভর্তুকি প্রকল্পের ১৫% খরচ থেকে সর্বোচ্চ ২৫,০০০ টাকা ।

সুদের ভর্তুকি সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য সময়মত পরিশোধ যোগ্য জন্য সুদের ৫০%

সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য অন্য সব ক্ষেত্রে ৪০% সুদ।


প্রকল্পের নাম: কারিগর এবং তাঁতিদের বার্ধক্য পেনশন


উদ্দেশ্য : প্রতি কারিগর এবং তাঁতিদের আয়ের উৎস সুরক্ষিত করা।

যোগ্যতা :

কারিগর এবং তাঁতিকে পশ্চিমবঙ্গের স্থায়ী বাসিন্দা হতে হবে অথবা,

কমপক্ষে ১০ বছরের জন্য পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

• কারিগর এবং তাঁতির বয়স ৬০ বছর বা তার বেশি হতে হবে।

• কারিগর এবং তাঁতিদের সংশ্লিষ্ট বিভাগে নিবন্ধিত হতে হবে।

• কারিগর এবং তাঁতি অন্য কোনো পেনশন প্রকল্পের সুবিধাভোগী হবেনা।

সুবিধা :

প্রতি মাসে ১,০০০/- টাকা পেনশন প্রদান করা হবে।


প্রকল্পের নাম: শিল্প সাথী


সূচনাকাল : ২০১৮

উদ্দেশ্য : রাজ্যে ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিনিয়োগকারীদের সুবিধার্থে সিঙ্গেল উইন্ডো সিস্টেম এবং ব্যবসা করার সুবিধার জন্যই মূলত এই প্রকল্পের উদ্যোগ করা হয় ।

বিশদ বিবরণ : রাজ্যে ব্যবসা করার সহজতা (EoDB ) প্রচারের জন্য রাজ্য সরকারের বিভাগ এবং সংস্থাগুলি দ্বারা গৃহীত বেশ কিছু সংস্কারগুলির একত্রিকরন করে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় । এটি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রযোজ্য আইন, নিয়ম, নীতি এবং প্রকল্পগুলির অধীনে প্রয়োজনীয় সংবিধিবদ্ধ সম্মতি প্রদানের জন্য একটি ডিজিটাল গেটওয়ে হিসাবে কাজ করে। শিল্প সুবিধা কেন্দ্র (IFC) রাজ্যের প্রতিটি জেলায় শিল্প সাথী থেকে পরিযেবা চাওয়া বিনিয়োগকারীদের সহায়তা প্রদান করে। শিল্প সাথী কিয়স্ক সব শিল্প সুবিধা কেন্দ্রে (IFCs) উপলব্ধ আছে।


প্রকল্পের নাম: বাংলাশ্রী


বিশদ বিবরণ : এটি প্রণোদনা অনুমোদন এবং বিতরণের একটি উদ্যোগ যেখানে পশ্চিমবঙ্গের ক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগগুলি তাদের নথি আপলোড করতে পারে এবং যোগ্য প্রণোদনা গ্রহণ করতে পারে। কোনো অফিসে শারীরিক পরিদর্শন ছাড়াই অনলাইন মোডের মাধ্যমে প্রণোদনা বিতরণ করা হয়।


সংখ্যালঘু বিষয়ক বিভাগ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা (Departmet of Minorities Affairs and Madrasah Education)


প্রকল্পের নাম: ঐক্যশ্ৰী


সূচনাকাল : ২০১৯

উদ্দেশ্য : সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের মৌলিক ও উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান ৷

যোগ্যতা :

• আবেদনকারীকে পশ্চিমবঙ্গের ছাত্র হতে হবে।

• ছাত্র নিম্নোক্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যে কোনো একটির অন্তর্গত

■ মুসলমান

শিখ

জৈন

■ পার্সি

■ বৌদ্ধ

■ খ্রিস্টান

নিম্নলিখিত যে কোনো বিভাগে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী

■ প্রথম শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত

■ একাদশ শ্রেণি থেকে পিএইচ.ডি.

টেকনিক্যাল এবং প্রফেশনাল কোর্স

• শিক্ষার্থীকে পূর্ববর্তী চূড়ান্ত পরীক্ষায় ন্যূনতম ৫০% নম্বর নিশ্চিত করতে হবে।

• বার্ষিক পারিবারিক আয়ের ঊর্ধসীমা

■ প্রথম শ্রেণি থেকে পিএইচডির জন্য ২ লাখ টাকা

টেকনিক্যাল এবং প্রফেশনাল কোর্সের ছাত্রদের জন্য ২.৫ লাখ টাকা

সুবিধা : ঐক্যশ্রী প্রকল্পের অধীনে ছাত্রদের প্রতি বছর নিম্নলিখিত আর্থিক কর্মী এবং প্রশাসনিক সংস্কার


শ্রেণি/কোর্স ডে স্কলারদের হোস্টেলারদের জন্য

টাকার পরিমাণ টাকার পরিমাণ

প্রথম শ্রেণি থেকে ১,১০০/- টাকা ০ টাকা

পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত


ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম ৫,৫০০/- টাকা ১,১০০০/- টাকা

শ্রেণি পর্যন্ত


একাদশ থেকে দ্বাদশ ১০,২০০ /- টাকা ১১,৯০০/- টাকা

শ্রেণি পর্যন্ত


একাদশ এবং দ্বাদশ ১৩,৫০০/- টাকা ১৫,২০০/- টাকা

শ্রেণি (কারিগরি এবং

বৃত্তিমূলক কোর্স) )


স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ৬,৬০০/- টাকা ৯,৬০০/- টাকা


এম.ফিল. পিএইচ.ডি. ৯,৩০০/- টাকা ১৬,৫০০/- টাকা


• চিকিৎসা ২৭,৫০০/- টাকা ৩৩,০০০/- টাকা

• প্রকৌশল

• ব্যবস্থাপনা

• আইন

সিএ

• অন্যান্য কারিগরি

এবং পেশাগত কোর্স


পঞ্চায়েত এবং গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগ (Depart- ment of Panchayat and Rural Develop- ment)


প্রকল্পের নাম: সৃষ্টিশ্রী


সূচনাকাল : ২০১৯

উদ্দেশ্য : এটি গ্রামবাংলার হস্তশিল্পের পন্যগুলির জন্য একটি শহুরে হাট ও রাজ্যগুলি মহিলা স্বনির্ভরগোষ্টী সদস্যের দ্বারা তৈরি হস্তশিল্পের পন্যগুলিকে প্রচার করে

বিশদ বিবরন : সৃষ্টিশ্রী হল ঢাকুরিয়া (কলকাতা) - য় স্থায়ী দোকানসহ একটি বহুতল শপিং আউটলেট যা প্রতিটি জেলার অগনিত ঐতিহ্যবাহী পন্য প্রদর্শন করে।মহিলা সদস্যের দ্বারা তৈরী এটি এবং মহিলারা নিজেরাই স্টল চালান।এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল গ্রামীন জনগনের জন্য একটি স্থায়ী মার্কেটিং হাব তৈরী করা এবং তাদের নায্য মুল্য প্রদান করাসৃষ্টিশ্রী হল আনন্দধারা অধীনে একটি প্রথম বিপনন কেন্দ্র, যা রাজ্যজুড়ে মহিলা স্বনির্ভরগোষ্টীর সদস্যের দ্বারা তৈরী হস্তশিল্পের পন্যগুলির প্রদর্শন এবংপ্রচার করার জন্য তৈরী করা হয়েছে


কর্মী এবং প্রশাষনিক সংস্কার বিভাগ (Department of Personnel and Administrative Reforms)


প্রকল্পের নাম: বাংলা সহায়তা কেন্দ্র


সূচনাকাল : ২০২০

উদ্দেশ্য : সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্প সম্পর্কে সুবিধাভোগীদের সঠিক তথ্য প্রদান করা

বিশদ বিবরণ : এই প্রকল্প যুবকদের বিনামূল্যে সরকারি সুবিধা পেতে সাহায্য করে। নাগরিকরা এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্রে বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারেন। এই কেন্দ্রগুলি পরিচালনার জন্য কর্মী হিসাবে যোগ্য যুবক যুবতীদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ করা হয়েছে


প্রকল্পের নাম: আপন বাংলা


সূচনাকাল : 2023

উদ্দেশ্য :

1) পশ্চিমবঙ্গের এনআরআই, পিআইও এবং ওসিআইদের সাথে সংযোগ স্থাপন করা এবং তাদের দেশের কাছাকাছি নিয়ে আসা এবং তাদের একনিষ্ঠতার অনুভূতি প্রদান করা।

2) তাদের মূল রাজ্যের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি সেতু নির্মাণ করা ।

3) এনআরডব্লিউবি কার্ড ইস্যু করে তাদের পরিচয় পুনঃনিশ্চিত করার জন্য প্রতিক্রিয়াশীল শাসন ব্যবস্থা সক্ষম করার একটি পদক্ষেপ।

4) তাদের কল্যাণ পর্যবেক্ষণ করা।

5) এনআরবিদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি এবং আপন বাংলা প্রবাসী রত্ন পুরস্কারে সম্মানিত করা ।

6) রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও শিল্প উন্নয়নের জন্য তাদের দক্ষতাকে সহযোগিতা করা।


বিদ্যুৎ বিভাগ (Department of Power)


প্রকল্পের নাম: আলোশ্ৰী

সূচনাকাল : ২০১৬

উদ্দেশ্য : সকল সরকারি অফিস ও ভবনে গ্রিড সংযুক্ত সোলার ফটোভোলটাইক সিস্টেম স্থাপন করা ।

বিশদ বিবরণ : ভবনের ছাদে সৌর প্যানেল স্থাপন করে এবং সৌর শক্তির দ্বারা ভবনগুলিকে আলোকিত করার মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের বিল কমানো এবং সবুজ শক্তির প্রচার করার একটি প্রচেষ্টা। প্রাথমিকভাবে ওয়েস্ট বেঙ্গল রিনিউয়েবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (WBREDA) প্রকল্পটি বাস্তবায়নের পক্ষপাতী ছিল কিন্তু পরে রাজ্য-চালিত বিদ্যুৎবিতরণ কোম্পানি ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট ইলেকট্রিসিটি ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (WBSEDCL) কে বরাদ্দ করা হয়েছিল। ২০১৬ সালে দেশবন্ধু গার্লস কলেজে প্রথম সৌর প্যানেল ইনস্টল করা হয়েছিল। এটি কলেজগুলিকে গ্রীন এনার্জি উৎপাদনের ক্ষেত্রে NAAC-এর অধীনে আপগ্রেড রেটিং পেতে সাহায্য করেছিল। এইভাবে বাংলা ভারতে সৌর উৎপাদনের রোল মডেল হয়ে উঠেছে।


প্রকল্পের নাম: হাসির আলো


সূচনাকাল : ২০২০

উদ্দেশ্য : রাজ্যের দরিদ্র জনগণকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা।

বিশদ বিবরণ : রাজ্য জুড়ে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত দরিদ্র লোকদের বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা। এটি ২০২০-২১ আর্থিক বছরে ২০০ কোটি বাজেট বরাদ্দের সাথে ঘোষণা করা হয়েছিল এবং এই প্রকল্পের অধীনে শুধুমাত্র আবাসিক বিদ্যুৎ সংযোগগুলিই অন্তর্ভুক্ত। মোট সুবিধাভোগী হল ৩৪ লাখ আর্থিকভাবে দুর্বল পরিবার


প্রকল্পের নাম: জেন্ট্রাক (Gentrack)


বিশদ বিবরণ : Gentrack হল একটি প্রগতিশীল ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন যা নির্বিঘ্নে ওয়েবে এবং Android এবং IOS উভয়ের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ হিসাবে কাজ করে।


গণপূর্ত বিভাগ (Department of Public Works)


প্রকল্পের নাম: পথশ্ৰী


সূচনাকাল : ২০20

উদ্দেশ্য : রাজ্যের রাস্তা মেরামত করা।

বিশদ বিবরণ : রাস্তার পরিকাঠামোকে শক্তিশালী করতে এবং গ্রামের সাথে সংযোগ বাড়াতে, রাজ্য জুড়ে ১২,০০০ কিলোমিটারের মধ্যে ৭,০০০টিরও বেশি প্রসারিত রাস্তাগুলি একটি মিশন মোডে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে মেরামত করা হবে।


প্রকল্পের নাম: সমীক্ষা


বিশদ বিবরণ : এটি একটি ই-গভর্নেন্স উদ্যোগ যেখানে রাজ্য জুড়ে রাস্তা, সেতু এবং ভবনগুলির জন্য বিভিন্ন নির্মাণ, পুনর্গঠন, উন্নতি, আপগ্রেডেশন, সংস্কার, পুনর্বাসন ও রক্ষণাবেক্ষণ প্রকল্পগুলির অগ্রগতি নিরীক্ষণের জন্য একটি ওয়েব এবং মোবাইল ভিত্তিক সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করা হয়েছিল। প্রাথমিক অ্যাপ্লিকেশনটি একটি ওয়েব-ভিত্তিক পোর্টাল এবং একটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে প্রকল্পগুলি পর্যবেক্ষণ করতে বিভাগটিকে সহায়তা করেছে। রাজ্য জুড়ে পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট (PWD) দ্বারা সম্পাদিত সমস্ত অনুমোদিত প্রকল্প ও টেন্ডার সম্পর্কিত তথ্য সহ এই পোর্টালে রয়েছে।


বিদ্যালয় শিক্ষা বিভাগ (Department of School Education)


প্রকল্পের নাম: স্বামী বিবেকানন্দ স্কলারশিপ প্রকল্প


সূচনাকাল : ২০১১

উদ্দেশ্য : অর্থের অভাবে যাদের মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে দিতে হয়েছে এমন শিক্ষার্থীদের আর্থিক সহায়তা প্রদান। এটি তাদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করে।

যোগ্যতা : আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে। আবেদনকারীর পারিবারিক আয় ২,৫০,০০০/- টাকার বেশি হওয়া উচিত নয় ৷

    আবেদনকারীকে তার শেষ যোগ্যতা পরীক্ষায় নিম্নলিখিত শতাংশ পেয়ে থাকতে হবে

■ বিদ্যালয় স্তরের আবেদনকারীদের জন্য ৬০%।

■ স্নাতক আবেদনকারীদের জন্য ৬০% ।

■ স্নাতকোত্তর আবেদনকারীদের জন্য ৫৩%।

■ মেডিকেল ডিগ্রি আবেদনকারীর জন্য ৬০%।

■ ডিপ্লোমা কোর্সের আবেদনকারীর জন্য ৬০%।

■ কন্যাশ্রী আবেদনকারীর জন্য ৪৫%।

সুবিধা :


বিভাগ শিক্ষার ধরন বৃত্তির পরিমাণ (মাসিক ভিত্তিতে)


বিদ্যালয় শিক্ষা উচ্চ মাধ্যমিক ১,০০০/- টাকা

                   ডি.এল.এড                                   ১,০০০/- টাকা


পাবলিক নির্দেশ

                                            স্নাতক (কলা)                                  ১,০০০/- টাকা

     

                                             স্নাতক (বাণিজ্য)                                 ১,০০০/- টাকা

                                             স্নাতক (বিজ্ঞান)                                 ১,৫০০/- টাকা

                                             স্নাতক (অন্যান্য                                ১,৫০০/-টাকা

                                        ইউজিসি অনুমোদিত

                                            পেশাগত কোর্স)


 


                                                  স্নাতক (কলা)                                      ১,০০০/- টাকা

                 

                                                স্নাতক (বাণিজ্য)                                     ১,০০০/- টাকা

                                                স্নাতক (বিজ্ঞান)                                     ১,৫০০/- টাকা

                                                স্নাতক (অন্যান্য                                       ১,৫০০/-টাকা

                                         ইউজিসি অনুমোদিত

                                             পেশাগত কোর্স)

                                                নন নেট এমফিল                                    ৫,০০০/- টাকা

                                                নন নেট পি এইচ ডি                                ৮,০০০/- টাকা


প্রকল্পের নাম: বিনা মুল্য সামাজিক সুরক্ষা


সূচনাকাল : 2020

উদ্দেশ্য : রাজ্যে বসবাসকারী অসংগঠিত শ্রমিকদের বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্পের সুবিধা প্রদান করা।

যোগ্যতা :

• আবেদনকারীকে অবশ্যই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা হতে হবে।

• আবেদনকারীকে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে।

• আবেদনকারীর বয়স ১৮-৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে।

• আবেদনকারীর পারিবারিক আয় প্রতি মাসে ₹৭,৫০০ টাকার বেশি হওয়া উচিত নয়।

• নির্মাণ ও পরিবহন শ্রমিকদের পারিবারিক আয়ের ঊর্ধসীমা নেই ।

সুবিধা :

রাজ্য সরকার সুবিধাভোগীর ভবিষ্যত তহবিল অ্যাকাউন্টে প্রতি মাসে ৫৫ টাকা অবদান রাখবে।

• তহবিলের অর্থ অবশেষে ৬০ বছর বয়স পূর্ণ হলে সুবিধাভোগীকে প্রদান করা হবে।

• সাধারণ ভবিষ্য তহবিলের অধীনে আমানতের উপর যে হারে সুদ সেই সুদ ও রাজ্য সরকার প্রদান করবে।

• সুবিধাভোগীর মৃত্যু ও অক্ষমতার ক্ষেত্রে সুবিধাভোগী বা তার মনোনীত ব্যাক্তিকে আর্থিক সহায়তা


অবস্থা                                                            পরিমাণ

দুর্ঘটনার কারণে মৃত্যু                                    ২,০০,০০০ টাকা


স্বাভাবিক মৃত্যু                                            ৫০,০০০ টাকা


উভয় চোখের অপূরণীয়                                 ২,০০,০০০ টাকা

ক্ষতির ক্ষেত্রে, বা উভয় হাত

বা পা ব্যবহারে ক্ষতি বা একটি

চোখের দৃষ্টিশক্তি হ্রাস এবং হাত

বা পা ব্যবহারে ক্ষতির ক্ষেত্রে।


একটি চোখের দৃষ্টিশক্তির অপূরণীয়                   ১,০০,০০০ টাকা          

ক্ষতির ক্ষেত্রে, বা একটি হাত বা পা

ব্যবহারে ক্ষতির ক্ষেত্রে।

• সুবিধাভোগী বা তার পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসার জন্য বার্ষিক ২০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা ।

• সুবিধাভোগী বা তার পরিবারের সদস্যদের যেকোনো ধরনের অস্ত্রোপচারের জন্য বার্ষিক ৬০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা।

• হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে সুবিধাভোগীর চাকরি হারানোর জন্য ১০,০০০ টাকা পর্যন্ত আর্থিক সহায়তা।



সময়কাল                                পরিমাণ

প্রথম পাঁচ দিনের জন্য            প্রতিদিন ২০০ টাকা

বাকি দিনগুলো                     প্রতিদিন ১০০ টাকা


• সুবিধাভোগীর শিক্ষার জন্য আর্থিক সহায়তা


শ্ৰেণী                                            পরিমাণ


একাদশ শ্রেণিতে পড়ছে                         বার্ষিক ৪,০০০ টাকা

দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ছে                            বার্ষিক ৫,০০০ টাকা

ITIs-এ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন                        বার্ষিক ৬,০০০ টাকা

ইউজি লেভেল                                    বার্ষিক ৬,০০০ টাকা

পিজি লেভেল                                     বার্ষিক ১০,০০০ টাকা

পলিটেকনিক কোর্স                             বার্ষিক ১০,০০০ টাকা

মেডিকেল/ইঞ্জিনিয়ারিং                         বার্ষিক ৩০,০০০ টাকা


স্নাতক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা বা সমমানের দক্ষতা অধ্যয়ন সমাপ্তির জন্য সহায়তা প্রত্যেকের জন্য ২৫,০০০/- টাকা সহায়তা প্রদান( দুই কন্যা সন্তান পর্যন্ত)



প্রকল্পের নাম: প্ৰচেষ্টা


সূচনাকাল : ২০২০

উদ্দেশ্য : রাজ্যের নাগরিকদের, প্রধানত দৈনিক মজুরি কর্মী, যারা ২০২০ সালে COVID-১৯ মহামারী চলাকালীন দেশব্যাপী লকডাউনের কারণে তাদের নিয়মিত জীবিকা অর্জনে অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছিল তাদের প্রণোদনা প্রদান করা ।

বিশদ বিবরণ : ২০২০ সালে লকডাউনের কারণে অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মরত বিপুল সংখ্যক শ্রমিক/দৈনিক মজুরি উপার্জনকারী তাদের নিয়মিত জীবিকা থেকে উপার্জন হারিয়েছে। এই সকল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শ্রমিকদের আর্থিক সুবিধা প্রদানের জন্য এই প্রকল্পটি চালু হয়। মাসিক ১,০০০/- টাকা অনুদান দেওয়া হয় এই প্রকল্পের অধীনে


প্রকল্পের নাম: কর্মশ্ৰী

সূচনাকাল : ২০১৪

উদ্দেশ্য : সম্মানজনক শ্রমের মাধ্যমে মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করা ।

বিশদ বিবরণ : কর্মশ্রী হল শ্রম দফতরের অধীনে কয়েকটি প্রকল্পের সংমিশ্রণ। যারা একটি প্রকল্পে ২০ দিন কাজ করেন, তাদের অন্য প্রকল্পে আরও ২০ দিন কাজ দেওয়া হবে। শ্রমের মর্যাদা রক্ষার মূল শব্দটি হল-“কোনও কাজ নিকৃষ্ট নয়”। সরকার ৫০০ কর্ম তীর্থ মার্কেটিং হাব (রাজ্যের প্রতিটি ব্লকে অন্তত একটি) এর মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়নের জন্য ১০ লক্ষ যুবকদের প্রশিক্ষণ দেবে, যেখানে দরিদ্র লোকেরা রাজ্যে বিনামূল্যে দোকান পাবে।

কর্ম তীর্থ মার্কেটিং হাব : কর্ম তীর্থের মূল উদ্দেশ্য হল কারিগর, তাঁতি, ক্ষুদ্র ও অতি ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা, মহিলা কারিগর সহ অনগ্রসর এবং দরিদ্র SHG সদস্যদের পণ্য বিপণনের জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ প্রদান করা এবং তাদের এবং ভোক্তা, ক্রেতাদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করা। এইভাবে কর্ম তীর্থ সংগঠিত বিপণন সুবিধার সুযোগ প্রদান করে ও একই সাথে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মাধ্যম দ্বারা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। উদাহরণ ইলুয়াবাড়ি কর্ম তীর্থ, উত্তর দিনাজপুর, বামনগোলা কর্ম তীর্থ, মালদা ।


এক জেলা এক পণ্য (ODOP) পদ্ধতি


এই পদ্ধতির অধীনে, রাজ্য জেলার জন্য একটি খাদ্য পণ্য শনাস্ত করে নির্বাচন করে, যা একটি পচনশীল কৃষি ফসল হতে পারে, যেমন খাদ্যশস্য বা একটি খাদ্য পণ্য যা জেলায় বহুলাংশে উৎপাদিত হয়। টমেটো, আম, আলু, লিচু, বাজরা-ভিত্তিক পণ্য, মৎস্য, হাঁস-মুরগি মাংস এবং পশুখাদ্য হল ODOP-এর আওতাভুক্ত কিছু খাদ্য পণ্য। ঐতিহ্যবাহী এবং উদ্ভাবনী পণ্য যেমন মধু, উপজাতীয় অঞ্চলে গৌণ বনজ পণ্য এবং হলুদের মতো ভেষজ আইটেমগুলিকেও এই প্রকল্প সহায়তা করে।


বিভিন্ন মন্ত্রণালয়


প্রকল্পের নাম উৎপাদনযুক্ত ইনসেনটিভ প্রকল্প (PLI)


সূচনাকাল : 2021 সালে।

উদ্দেশ্য : দেশীয় উৎপাদনকে বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক করা এবং উৎপাদনে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন তৈরি করা।


প্রকল্প অনুমোদন করেছে। এই প্রকল্পটি জম্মু ও কাশ্মীরের কিশও

জেলায় তৈরি করা হয়েছে।

Pey Jal Survekshan : আবাসন ও নগর বিষয়ক মন্ত্র পাইলট প্রকল্প চালু করেছে। প্রকল্পটি জলজীবন মিশন-আরবানের অধীনে ছিল। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল জলের সুষম বন্টন বর্জ্য জলের পুনঃব্যবহার এবং জলাশয়ের ম্যাপিং বজায় রাখা। আগ্রা, বদলাপুর, ভুববেশ্বর, চুরু, কোচি, মাদুরাই, পাতিয়ালা, রোহন, সুরাট এবং তুমকুরের মতো ১০টি শহরে এই স্কিমটি চালু করা হয়েছে। Swayavalamban Sashakt : COWE (ভারতের কনফেডারেশন অফ উইমেন এন্টারপ্রেনারস) এর সাথে (IDBI এই প্রচারণা করেছে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হল সরকারকে দিতে সচেতনতা ৈ করা। মহিলা উদ্যোক্তাদের জন্য স্ট্যাণ্ড আপ ইণ্ডিয়া স্কিন । Sweet Revolution : জাতীয় মৌমাছি পালন এবং মধু নি


বিস্তারিত বিবরণ : উৎপাদনযুক্ত ইনসেনটিভ (PLI) প্রকল্প 13টি বিভাগের জন্য ঘোষণা করা হয়েছেজাতীয় উৎপাদন চ্যাম্পিয়ন তৈরী করা




(NBHM) মিষ্টি বিপ্লবের লক্ষ্য। এনবিএইচ এম বৈজ্ঞানিক মৌমাছি

প্রধান বিভাগের জন্য ঘোষণা করা হয়েছে, পালনের সার্বিক প্রচার ও উন্নয়নও পরিচালনা করে। MGNF Program : দক্ষতা উন্নয়ন এবং উদ্যোক্তা মন্ত্রক, ১ তৈরি করা এবং দেশের যুবকদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি

করার জন্য PLI প্রকল্পগুলির ফলস্বরূপ ভারতে ন্যূনতম উৎপাদন 5 ইণ্ডিয়ান ইনস্টিটিউিট অফ ম্যানেজমেন্ট (IIM) এর সাথে অংশীদারি মহাত্মা গান্ধী ন্যাশনাল ফেলোশিপ (MGNF) প্রোগ্রাম চালু করেছে। দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রী, সংকল্প কর্মসূচির অধীনে কৌশলগ অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দক্ষতার রূপান্তর বিষয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব

বছরে US$500 বিলিয়নের বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, প্রকল্পের পিছনের কৌশলটি হল ভিত্তি বছর ধরে ভারতে উৎপাদিত পণ্যগুলি থেকে ক্রমবর্ধমান বিক্রয়ের উপর কোম্পানিগুলিকে ইনসেনটিভ দেওয়া।

PLI-এর জন্য নির্বাচিত কিছু বিভাগ নিম্নরূপ :

• ইলেকট্রনিক/প্রযুক্তিগত প্রোডাক্ট—ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (MeitY)

ফার্মাসিউটিক্যালস ড্রাগ—D/o ফার্মাসিউটিক্যাল

• টেলিকম এবং নেটওয়ার্কিং প্রোডাক্ট—Do টেলিকমিউনিকেশন • খাদ্য পণ্য—খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প মন্ত্রণালয়

হোয়াইট গুডস (AC এবং LED)–বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপার্টমেন্ট ফর প্রমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টারনাল ট্রেড (DPIIT)

করেন।

END PIN

SISFS : কেন্দ্রীয় সরকার ৯৪৫ কোটি টাকার স্টার্ট-আপ ইণ্ডিয় সিড ফাণ্ড স্কিম (SISFS) অনুমোদন করেছে, যার লক্ষ হল পণ্যে পরীক্ষা, বাজারে প্রবেশ, ধারণার প্রমাণ, প্রোটোটাইপ বিকাশ ক বাণিজ্যিকীকরণের জন্য স্টার্ট-আপগুলিকে আর্থিক সহায়তা প্রথম

করা।

Pradhan Mantri Kaushal Vikas Yojana: 4 f চলতি আর্থিক বছরের জন্য চালু করা হয়েছে এবং দক্ষতা উন্নয়ন ও উদ্যোক্তা মন্ত্রক দ্বারা বাস্তবায়িত হবে। প্রশিক্ষণটি ৭২৯টি প্রধানম

• উচ্চ দক্ষতাসম্পন্ন সৌর PV মডিউল নতুন এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য কৌশল কেন্দ্র (PMKKS), Non-PMKK_ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এব শক্তি মন্ত্রণালয় (MNRE)

কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্প

Prarambh : প্রধানমন্ত্রী স্টার্ট-আপ ইণ্ডিয়া সিড ফাণ্ডের জন্য ₹ ১০০০ কোটির প্রকল্প চালু করেছেন। এটি স্টার্টআপ ইণ্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল সামিট, ২০২১-এ ঘোষণা করেছে। কমিটির

প্রতিনিধিদের মধ্যে ডিপিআইআইটি, বায়োটেকনোলজি বিভাগ,

২০০টিরও বেশি শিল্প প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের (ITIS) মাধ্যমে প্রদান কর হবে। আরও, ১.৫ কোটি যুবকদের দক্ষ করার বর্ধিত লক্ষ্য নিয়ে ২০২১-২২ সালে একটি পাঁচ বছরের PMKVY চালু করা হবে।

Remittance Scheme

Liberalised (LRS) : ভার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক লিবারেলাইজড রেমিট্যান্স স্কিম (LRS) এর অধীন আবাসিক ব্যক্তিদের দেশের আন্তজার্তিক আর্থিক পরিষেবা কেন্দ্রগুলিয়ে (IFSCs) রেমিট্যান্স করার অনুমতি দিয়েছে। RBI-এর সিদ্ধান্তের ল হল IFSC-তে আর্থিক বাজার গভীর করা এবং আবাসিক বানি তাদের পোর্টফোলিওগুলিকে বৈচিত্র্যময় করার সুযোগ প্রদান করা RBI LRS-এর বিদ্যমান নির্দেশিকাগুলি পর্যালোচনা করেছে এব চেনাব নদীর উপর ৮৫০ মেগাওয়াট (মেগাওয়াট) রাতলে জলবিদ্যুৎ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন, ২০০৫-এর অধীনে ভারতে স্থাপি

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি, নীতি আয়োগ এবং ইকোসিস্টেমের বিশেষজ্ঞ সদস্যরা অন্তভুক্ত থাকবে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা

হল

IFSC তে LRS এর বিদ্যমান এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপিত IFSC তে LRS-এর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

All India Tourist Vehi Rules, 2021 : সড়ক পরিবহন অপারেটরদের জন্য একটি নতু যেকোনো ট্যুরিস্ট ভেহিকেল ত অল ইণ্ডিয়া ট্যুরিস্ট অনুমোদন এ

পারে।

G-SAP 1.0 : ভারতীয় বি ত্রৈমাসিকে G-sec অধিগ্রহণ প্রে লক্ষ কোটি টাকার সরকারি সিকি ঘোষণা দিয়েছে। মূল উদ্দেশ্য হ এবং সুশৃঙ্খল বিবর্তন। এই স্কিমে মোট ₹ ২৫,০০০ কোটি টাকার

ক্রয়।

SVAMITVA

:

প্রধানমন্ত্ৰী

কনফারেন্সের মাধ্যমে SVAMIT বিতরণ শুরু করেছিলেন। SVA প্রযুক্তির সাথে গ্রামগুলির সমীক্ষ SVAMITVA প্রকল্প বাস্তবায়নে ৫০০০ টিরও বেশি গ্রামে প্রায় ৪. ই-প্রপাটি কার্ড দেওয়া হয়েছিল।

ECLGS-3.0 : কেন্দ্রীয় সরব স্কিম (ECLGS 3.0) আরও তিন পর্যন্ত বা এই স্কিমের অধীনে ₹ ৩ উপরক্ত, সরকার অর্থনৈতিক পুনর ECLGS প্রকল্পে কিছু পরিবর্তনও

EDLI : EDLI হল কর্মচারী লিঙ্কড ইন্স্যুরেন্স স্কিম। বীমা সুবিধ হয়েছে, বিশেষ করে কর্মচারীদের

COVID-19 এর কারণে প্রাণ পরিমাণ ₹ ৬ লাখ থেকে বাড়িে বীমা সুবিধার বিধান ₹ ২.৫ লক্ষে ১৫ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ থেকে প ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ থেকে প্রযোজ

The National Bamboo দেশীয় আগরবাতি শিল্পকে শক্তিশা সিস্টেম চালু করেছে।

Kendriyo Sarkarer Prokolpo - কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প All Schemes of Indian Government Kendriyo Sarkarer Prokolpo  - কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্প All Schemes of Indian Government Reviewed by Manisha Roy on নভেম্বর ২৩, ২০২৪ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.