Featured Posts

[সমস্যা%20সমাধান][feat1]

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি আইপি কোড ( IPC ) - অবশ্যই জেনে রাখুন

নভেম্বর ২০, ২০২৪

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ আইপিসি কোডসমূহ

ভারতীয় আইন


ভারতের দণ্ডবিধি (Indian Penal Code বা IPC) দেশের আইন ব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি অপরাধ ও শাস্তি সম্পর্কিত নিয়মাবলী নির্ধারণ করে এবং নাগরিকদের অধিকার রক্ষা করে। আইপিসি একাধিক ধারায় বিভক্ত এবং প্রতিটি ধারা বিশেষ ধরনের অপরাধ ও তার শাস্তি নির্ধারণ করে। এই ব্লগ পোস্টে আমরা ভারতের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইপিসি কোড নিয়ে আলোচনা করব, যা সাধারণ নাগরিকের জন্য পরিচিত হওয়া উচিত।

১. ধারা ৩০২ - হত্যাকাণ্ড

ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০২ (IPC Section 302) হত্যাকাণ্ডের অপরাধ সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এটি বিশেষভাবে ইচ্ছাকৃত বা পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের জন্য প্রযোজ্য। এই ধারার অধীনে, যদি কেউ অন্য ব্যক্তিকে হত্যা করে, তবে তাকে হত্যাকারী হিসেবে গণ্য করা হয়। হত্যাকাণ্ডের শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হতে পারে। এই ধারায় হত্যার প্রমাণ পাওয়ার পর, অপরাধীকে শাস্তি দেওয়া হয়, যা আদালত নির্ধারণ করে। সাধারণত, অভিযুক্তের উদ্দেশ্য ও প্রেক্ষাপট বিচার করা হয়। এতে যদি কোনো অঙ্গীকার বা আগ্রহের উদ্দেশ্যে হত্যার ঘটনা ঘটে, তাহলে তা আরো গুরুতর হয়ে ওঠে। এটি ভারতীয় আইনের মধ্যে একটি কঠোর ধারা, যা অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

২. ধারা ৩৭৬ - ধর্ষণ

ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৭৬ (IPC Section 376) ধর্ষণ অপরাধের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এটি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়, যেখানে কোনো পুরুষ জোরপূর্বক বা ইচ্ছার বিরুদ্ধে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে। এই ধারায় ধর্ষণ করার জন্য অভিযুক্তকে ৭ বছর থেকে যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হতে পারে। ধর্ষণ অপরাধের শিকার ব্যক্তি যদি মাইনর হন, তবে শাস্তি আরও কঠোর হতে পারে। ধারা ৩৭৬ এ বলা হয়েছে, যদি ধর্ষণের শিকার ব্যক্তি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন, তবে শাস্তি আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে। ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হলে, দোষী ব্যক্তি বিভিন্ন শাস্তির মুখোমুখি হন, যেমন জরিমানা, শাস্তির মেয়াদ বাড়ানো বা মৃত্যুদণ্ড। ধর্ষণ আইনের অধীনে নারী ও পুরুষের মধ্যে যৌন সঙ্গমের সম্মতির ব্যাপারে সুস্পষ্ট বিধিনিষেধ রয়েছে। এটি নারী ক্ষমতায়ন এবং নিরাপত্তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি ধারা।

৩. ধারা ৪২০ - প্রতারণা

ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৪২০ (IPC Section 420) প্রতারণা সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এটি অপরাধীকে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে প্রতারণা করে অর্থ বা সম্পত্তি হাতিয়ে নেয়ার জন্য দোষী সাব্যস্ত করে। এই ধারায়, যদি কেউ জালিয়াতি বা মিথ্যা প্রমাণ দিয়ে অন্যদের প্রতারণা করে, তাহলে তাকে শাস্তি দেওয়া হবে। শাস্তি হিসেবে অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং জরিমানা হতে পারে। প্রতারণার মাধ্যমে যদি কোনো ব্যক্তি অর্থ বা সম্পত্তি চুরি করে, তবে এটি একটি গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। এ ক্ষেত্রে, ভুক্তভোগী ব্যক্তির আর্থিক বা সামাজিক ক্ষতির বিষয়টি বিচারাধীন থাকে। ধারা ৪২০ এর অধীনে, অপরাধীকে প্রতারণা করার জন্য শাস্তি দেওয়া হয়, এবং এই আইনটির মাধ্যমে সমাজে বিশ্বাস ও সততার সংস্কৃতি রক্ষা করা হয়। এতে প্রতারণার শিকার ব্যক্তি আইনি সাহায্য পেয়ে ন্যায্যতা লাভ করতে পারেন।

৪. ধারা ৩৫৩ - সরকারি কর্মচারীকে বাধা দেওয়া

ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩৫৩ (IPC Section 353) সরকারি কর্মচারীকে তার দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া বা হুমকি দেওয়ার অপরাধ সংক্রান্ত। এই ধারা অনুযায়ী, যদি কেউ কোনো সরকারি কর্মচারীকে তার কর্তব্য পালনে বাধা দেয়, শারীরিক আক্রমণ করে বা কোনোভাবে তাকে নিরুৎসাহিত করে, তবে সেটি অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। ধারা ৩৫৩ এ উল্লেখ করা হয়েছে যে, সরকারি কর্মচারীকে বাধা দেওয়া বা আক্রমণ করা, তাঁর কর্মক্ষমতা ও জনগণের সেবা বিঘ্নিত করতে পারে, যা আইনসিদ্ধ নয়। এই অপরাধের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড হতে পারে। এই ধারা মূলত সরকারি কর্মচারীদের নিরাপত্তা ও তাদের কার্যক্রমে স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তৈরি করা হয়েছে। এটি আইন শৃঙ্খলা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং জনগণের সেবা প্রক্রিয়াকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে দেয় না। এর মাধ্যমে সরকারের কর্মচারীদের প্রতি সম্মান এবং নিরাপত্তা রক্ষা করা হয়।

৫. ধারা ৩০৪ - অবহেলায় হত্যাকাণ্ড

ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৩০৪ (IPC Section 304) অবহেলায় হত্যা বা অজ্ঞাত কারণে হত্যা সম্পর্কিত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এটি এমন পরিস্থিতিতে প্রযোজ্য যেখানে কোনো ব্যক্তি অপরকে মারাত্মকভাবে আঘাত করে বা তার কারণে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, কিন্তু এটি পূর্ব পরিকল্পিত বা ইচ্ছাকৃত হত্যার মত গুরুতর অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয় না। এই ধারায় যদি কোনো ব্যক্তির অবহেলার কারণে অন্যের মৃত্যু ঘটে, তবে তাকে শাস্তি প্রদান করা হয়। শাস্তি হিসেবে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে, এবং শাস্তি আরও কঠোর হতে পারে যদি এটি কোনও অতি গুরুতর ঘটনা হয়। ধারা ৩০৪ এর অধীনে দুটি ভাগ রয়েছে—একটি অজানা বা অবহেলায় হত্যার জন্য এবং অন্যটি ইচ্ছাকৃত হত্যার জন্য, তবে যেখানে হত্যার উদ্দেশ্য স্পষ্ট নয়। এই ধারা হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত গুরুতর শাস্তি নির্ধারণ করে এবং নির্ধারণ করে যে, অপরাধীর উদ্দেশ্য এবং পরিস্থিতি কী ছিল।

৬. ধারা ৭৬৬ - শিশু নিপীড়ন

ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারা ৭৬৬ (IPC Section 766) শিশুদের প্রতি যৌন নিপীড়ন সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা। এটি শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অপরাধের জন্য প্রযোজ্য, যেখানে একজন পূর্ণবয়স্ক ব্যক্তি শিশুকে যৌনভাবে নির্যাতন করে। এই ধারায়, শিশুকে ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়ন করার জন্য অভিযুক্ত ব্যক্তি গুরুতর শাস্তির মুখোমুখি হন। শাস্তি হিসেবে অভিযুক্তকে দীর্ঘমেয়াদী কারাদণ্ড, জরিমানা বা অন্যান্য শাস্তি প্রদান করা হতে পারে। ধারা ৭৬৬ শিশুদের সুরক্ষা এবং তাদের অধিকার রক্ষার জন্য একান্ত জরুরি। এই ধারার মাধ্যমে সমাজে শিশুশ্রম ও শিশু নির্যাতন রোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। আইপিসির এই ধারার উদ্দেশ্য শিশুদের শারীরিক, মানসিক ও যৌন নিপীড়ন থেকে রক্ষা করা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বর্তমানে, বিশেষত নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা রোধে এই ধরনের ধারার গুরুত্ব বেড়েছে।

৭. ধারা ৪২৫ - বাড়ি ভাঙচুর

এটি এমন একটি অপরাধ যা বাড়ির বা আবাসস্থলের অবৈধ প্রবেশ বা ভাঙচুরের সাথে সম্পর্কিত। আইপিসির এই ধারা অনুযায়ী, ব্যক্তিকে বাড়ি ভাঙচুরের জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হলে, ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

৮. ধারা ৪৯৮এ - দাম্পত্য নিপীড়ন

আইপিসির ধারা ৪৯৮এ দাম্পত্য জীবনকে নিষ্ঠুর বা অমানবিকভাবে যন্ত্রণা দেওয়া নিয়ে সম্পর্কিত। যদি কেউ তার স্ত্রীর প্রতি শারীরিক বা মানসিক অত্যাচার করে, তবে তা দাম্পত্য নিপীড়ন হিসেবে গণ্য হবে এবং শাস্তি হিসেবে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।

৯. ধারা ৩৭৯ - চুরি

আইপিসির ধারা ৩৭৯ অনুযায়ী, যদি কেউ অন্যের সম্পত্তি বা বস্তু চুরি করে, তবে সে চুরির অপরাধী হিসেবে শাস্তি পাবে। এই অপরাধে শাস্তি হিসেবে ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে।

১০. ধারা ৫০৬ - হুমকি দেওয়া

এটি এমন একটি ধারাযুক্ত অপরাধ, যেখানে কেউ অন্যকে শারীরিক ক্ষতি বা অন্য কোনো ক্ষতির হুমকি দেয়। এর শাস্তি ২ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা জরিমানা হতে পারে।

উপসংহার:

আইপিসি ভারতীয় আইন ব্যবস্থায় অপরাধ ও শাস্তি নির্ধারণের জন্য একটি মৌলিক কাঠামো প্রদান করে। উপরিউক্ত ধারাগুলি শুধু কিছু গুরুত্বপূর্ণ আইপিসি কোডের উদাহরণ, তবে ভারতীয় দণ্ডবিধির মধ্যে আরও অনেক ধারার মাধ্যমে অপরাধীদের শাস্তি নির্ধারণ করা হয়। আইপিসি সম্পর্কে সচেতনতা প্রতিটি নাগরিকের জন্য অত্যন্ত জরুরি, যাতে সমাজে ন্যায়-নিষ্ঠা ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত থাকে। 

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি আইপি কোড ( IPC ) - অবশ্যই জেনে রাখুন ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি আইপি কোড ( IPC ) - অবশ্যই জেনে রাখুন Reviewed by Wisdom Apps on নভেম্বর ২০, ২০২৪ Rating: 5

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প - All Schemes by West Bengal Govt

আগস্ট ১৯, ২০২৪

all_scemes_by_west_bengal_govt


প্রকল্পের নাম: সবুজ সাথী

সূচনাকাল : ২০১৫

উদ্দেশ্য : বিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রীদের বিশেষ করে মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে উৎসাহিত করা ।

যোগ্যতা :

• পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা

নিম্নলিখিত স্কুলে ছাত্রদের পড়াশুনা করা উচিত

■ সরকার পরিচালিত বিদ্যালয়

■ সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়

■ সরকারী স্পন্সর বিদ্যালয়

পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মাদ্রাসা

ছাত্রদের নিম্নলিখিত শ্রেণিতে পড়া উচিত

নবম শ্রেণি

দশম শ্রেণি

একাদশ শ্রেণি

দ্বাদশ শ্রেণি

সুবিধা : নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির যোগ্য শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে সাইকেল

দেওয়া হবে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প - All Schemes by West Bengal Govt পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প - All Schemes by West Bengal Govt Reviewed by Manisha Roy on আগস্ট ১৯, ২০২৪ Rating: 5

ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গাইড । কিভাবে যাবেন ? কিভাবে ডাক্তার দেখাবেন ?

সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩

আপনি কি বিখ্যাত সিএমসি (cmc vellore)হাসপাতাল যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন ? এখানে সব তথ্য পেয়ে যাবেন 

সিএমসি  ভেলোর  (cmc vellore ) আসলে ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ ( CHRISTIAN MEDICAL COLLEGE )  - এটা ভারতের তামিলনাড়ু রাজ্যের ভেলোরে অবস্থিত । এটি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন ভারতের বিশিষ্ট প্রাইভেট হসপিটাল , মেডিক্যাল স্কুল  ও রিসার্চ ইন্সটিটিউট । সারা ভারতে এখানেই সবথেকে কম খরচে পেশেন্টদের উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়া হয় । পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে এখানে রুগীরা আসেন । আসুন জেনে নি ভেলোরের সঙ্কক্ষিপ্ত ইতিহাস - 

Cmc vellore bangla


সিএমসি হাসপাতালের ইতিহাস 

১৮৮০ সাল। আমেরিকা থেকে দক্ষিণ ভারতে বাবা-মায়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন স্কুল ছাত্রী ইডাসোফিয়া স্কুডার। এক ঘটনাবহুল রাতে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয় ভিন্ন ভিন্ন পরিবারের তিনজন সন্তানসম্ভবা মায়ের সন্তান প্রসবে তিনি কোনও সাহায্য করতে পারবেন কি না। সে বিষয়ে কোনও প্রশিক্ষণ না থাকায় ইডা কিছুই করতে পারেননি। পরদিন সকালে ইডা জানতে পারেন সেই তিন মহিলাই মারা গেছেন। তাঁর মনে হয় ভারতের মানুষের বিশেষ করে মহিলা ও শিশুদের সুচিকিৎসার জন্য ঈশ্বর তাঁকে আহ্বান জানিয়ে একটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছেন।

ইডা আমেরিকা ফিরে যান। ১৮৯৯ সালে তিনি কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল কলেজ থেকে ডাক্তারি বিদ্যায় স্নাতক হন। তারপর আবার ভারতে ফিরে আসেন। ১৯০০ সালে ভেলোরে এক শয্যার একটি ক্লিনিক খোলেন। ঠিক দু'বছরের মাথায় ১৯০২ সালে তিনি তৈরি করেন ৪০ শয্যার একটি হাসপাতাল। যে বাড়িতে বর্তমানে সিএমসি-র চক্ষু চিকিৎসা বিভাগ চলছে। ১৯০০ সালে একটি মাত্র শয্যা নিয়ে যে হাসপাতালের জন্ম হয়েছিল শতবর্ষ পার হয়ে এসে আজ তা শাখা-প্রশাখা ছড়িয়ে ১৪৪টি স্পেশালাইজড বিভাগ নিয়ে এক বিশাল বনস্পতি। 

ঠিকানা ও প্রয়োজনীয় তথ্য: ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল (CMCH) ইডা স্কুডার রোড / ভেলোর / ৬32004 / তামিলনাডু।

মেইন এনকোয়ারি: ( 0416 ) 2282629

জেনারেল এনকোয়ারি : ( 0416 ) 228110 

পেশেন্ট রিলেটেড ফোন নং:  88000338855

হোয়াটসঅ্যাপ নং:  9385285957 

সিএমসি হেল্প ডেস্ক (কাটপাডি স্টেশন প্ল্যাটফর্ম নং-১) : 8300205252

ইমেল: callcentre@cmcvellore.ac.in

মেডিক্যাল সুপার: msoffice@cmcvellore.ac.in 

অনলাইন অ্যাপয়েন্টমেন্ট ওয়েবসাইট: www.cmch-vellore.edu

পাবলিক রিলেশন অফিসার: pro@cmcvellore.ac.in

অ্যাপয়েন্টমেন্ট ও রেজিস্ট্রেশন: এখানে অ্যাপয়েন্টমেন্ট দু'ভাবে করা যায়। সরাসরি হাসপাতালে পৌঁছে লাইন দিয়ে। তাতে সময় লাগে অনেক বেশি। দ্বিতীয়ত, বাড়ি বসে www. cmch-vellore.edu ওয়েব সাইট লগ ইন করে। অনলাইন রেজিস্ট্রেশন সফল হলে একটি পাসওয়ার্ড ও ইউজার আইডি দেওয়া হয়। সেটি নিয়ে হাসপাতাল পৌঁছে শতশত রোগীর লাইনে না দাঁড়িয়ে যদি প্রাইভেটে দেখাতে চান তাহলে প্রাইভেট পেশেন্ট ফেসিলিটি সেন্টারে (PPFC) সিলভার গেটে ৬০০ নং কাউন্টারে পৌঁছে গেলেই হবে।

যদি জেনারেলে দেখাতে চান তাহলে ইডা সোফিয়া স্কুডার সেন্টিনারি সেন্টার ফর ওম্যান অ্যান্ড চিলড্রেন (ISSCC) গেটে ২, ৩, ৪ নং কাউন্টারে হাজির হতে হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশন ফর্ম ভর্তি, টাকা জমা, রোগীর আইডি নং ইত্যাদি নেওয়ার পালা।

নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট প্রাইভেট-৯০০ টাকা। রিপিট অ্যাপয়েন্টমেন্ট ৯০ দিনের মধ্যে ৩৫০ টাকা। অন্য ইউনিট বা বিভাগে ৯০ দিনের মধ্যে পুনরায় দেখাতে ৮০০ টাকা। রোগী যদি অন্য ডাক্তারকে দেখাতে চান তাহলে দিতে হবে সেপারেট কনসালটেশন ফি বাবদ ৭০০ টাকা। একই বিভাগে তিন মাসের মধ্যে রি-ভিজিটে ৩৫০ টাকা। তিন মাস পর যে কোনওরকম রিপিট অ্যাপয়েন্টমেন্ট হলে ৮০০ টাকা। বর্তমানে ওয়ান্স-ইন-এ মান্থ ফি ৭০০ টাকা। জেনারেল পেশেন্ট নতুন অ্যাপয়েন্টমেন্ট ২৭০ টাকা। সব ধরনের রিপিট অ্যাপয়েন্টমেন্টে লাগে ১৪০ টাকা। সব টাকাকড়ি মেটানোর পর পেশেন্ট আইডি কার্ড ও হসপিটাল নং দেওয়া হয়।

প্রাইভেট জেনারেল ছাড়াও আছে আলফা ক্লিনিক। যে কোনও প্রাইভেট পেশেন্ট যদি দ্রুত দেখাতে চান তাহলে যোগাযোগ করতে হবে আলফা ক্লিনিকে। ফোন নং: 0426 - 2282299। এখানে প্রথমবার দেখানোর জন্য দিতে হবে ১৭৬৫ টাকা। (যার মধ্যে এক সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয়বার দেখানো, চিকিৎসা সংক্রান্ত রিপোর্টের খরচ ধরা থাকে)। তিন মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার দেখালে দিতে হয় ৩৮০ টাকা প্রতি ভিজিট। তিন মাস পেরিয়ে গেলে ১৪৭৫ টাকা। আলফা ক্লিনিকে কোনও আগাম বুকিং হয় না। শুধুমাত্র একদিন আগে বুকিং করা যায়। ইমার্জেন্সি রোগীর ক্ষেত্রে এত কিছু করতে হয় না।

অ্যাডমিশন বা ভর্তির পদ্ধতি: আউটডোরে প্রথমে জুনিয়র পরে সিনিয়র ডাক্তার রোগীকে দেখেন। তারপর প্রয়োজন মতো কোনও বিশেষজ্ঞ রোগীকে পরীক্ষা করেন। ডাক্তারবাবু ভর্তির নির্দেশ দিলে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৬১৯ নং ঘরে অ্যাডমিশন স্লিপ নিয়ে যেতে হবে। যেখানে CBMO-র সঙ্গে দেখা করতে হবে। টাকা পয়সা জমা দেওয়ার পর ভর্তি নিশ্চিত হবে। প্রাইভেট রোগীদের এরপর বেড খালি হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। কারণ প্রাইভেট রুমের চাহিদা প্রচণ্ড। সেক্ষেত্রে অপেক্ষার পালা কয়েক দিন থেকে সপ্তাহ হতে পারে। রুটিন অ্যাডমিশন হয় সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টের মধ্যে। ইমার্জেন্সি এবং মেটারনিটি অ্যাডমিশনে অবশ্য এত ঝামেলা পোয়াতে হয় না ৷ এসব ক্ষেত্রে সবসময় ভর্তি নেওয়া হয়। অ্যাডমিশনের সময় রোগীকে অবশ্য জানাতে হবে তিনি জেনারেল, প্রাইভেট না সেমি-প্রাইভেট রুমে ভর্তি হতে চান।

ইন পেশেন্ট বেড চার্জ প্রতিদিন: জেনারেল ওয়ার্ড ১ হাজার ৬৫ টাকা/ সেমি-প্রাইভেট রুম ইন জেনারেল ওয়ার্ড ১ হাজার ২১০ টাকা/ ৪ বেড উইথ অ্যাটাচাড বাথ ১ হাজার ২৯০ টাকা/ ৩ বেড অ্যাটাচাড বাথ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা। ডাবল বেড অ্যাটাচড বাথ ২ হাজার ৪১৫ টাকা/ এসি ডাবল রুম ৩ হাজার ৯৩৫ টাকা/ নন-এসি সিঙ্গল বেড ৩ হাজার ২৬০ টাকা/ সিঙ্গল রুম মেন ব্লক ৪ হাজার ৪৯৫ টাকা/ এসি সিঙ্গল বেড ৫ হাজার ৫৫ টাকা/ সিঙ্গল বেড কর্নার রুম ৭ হাজার ৪১৫ টাকা/ ডিলাক্স রুম ৯ হাজার ১০০ টাকা/ প্রাইভেট এসি ডাবল বেড ৫ হাজার ৫৫ টাকা/ প্রাইভেট সিঙ্গল বেড ৭ হাজার ৫৮৫ টাকা/ এসি প্রাইভেট ডিলাক্স ৯ হাজার ৫৫০ টাকা/ সিসিইউ ৬ হাজার ৫০৬ টাকা/ আইটিইউ ৬ হাজার ৫০৫ টাকা।

মনে রাখবেন এই বেডচার্জ নির্দিষ্ট সময় অন্তর বদলে যায়। এজন্য সিএমসি এইচ ভেলোরে চিকিৎসা করাতে আনুমানিক কত খরচ হবে জানতে যে বিভাগে চিকিৎসা করাবেন তার প্রধানকে অথবা পাবলিক রিলেশন বিভাগে মেল করতে পারেন। এই হাসপাতালে দেখানোর সময় অবশ্যই একটি সরকারি ফোটো আইডি সঙ্গে আনতে হবে। বহির্বিভাগে ঢোকার সময় এটি সঙ্গে রাখা বাধ্যতামূলক। প্রয়োজনে গ্রাউন্ড ফ্লোরে ৫২ নং ঘরে ওপিডি ম্যানেজারের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে।

জি ১২ নং ঘরেও (ওপিডি রিসেপশন) সাহায্যের দরকার হলে যোগাযোগ করা যায়।

১৯২৭-১৯৩২ সালের মধ্যে তৈরি হওয়া ক্রিশ্চিয়ানো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগীর অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধির কারণে কর্তৃপক্ষ নতুন শাখা খোলার পরিকল্পনা নেয়। এরপর ২০০৫ সাল নাগাদ রানিপেট জেলায় কান্নিগাপুরম গ্রামে নতুন সিএমসি হাসপাতাল তৈরি শুরু হয়। ২০১৬ নাগাদ সেখানে ১৫০০ বেডের নতুন হাসপাতাল চালু হয়। বর্তমানে লেভেল ১ ট্রমা কেয়ার ছাড়া আরও বেশকিছু বিভাগ মূল হাসপাতাল থেকে রানিপেট ক্যাম্পাসে নিয়ে আসা হয়েছে। এখনও নির্মাণ কাজ চলেছে। সম্পূর্ণ ক্যাম্পাস তৈরি হয়ে গেলে আরও কিছু বিভাগ এখানে স্থানান্তরিত করা হবে।

ক্রমবর্ধমান রোগী সংখ্যার পরিপ্রেক্ষিতে সিএমসি ভেলোর অন্ধ্রপ্রদেশের চিত্তুরে ২০১১ সালে আরও একটি শাখা হাসপাতাল চালু করেছে। ভেলোর থেকে ২৯ কিমি দূরে চিত্তুরে সিএমসি ভেলোরের মতোই যাবতীয় পরিষেবা পাওয়া যায়। বর্তমানে ভেলোর শহরের আশপাশে মোট ৮টি ক্যাম্পাস মিলিয়ে প্রায় ৪৫০০ বেড আছে। তাতেও রোগীর সংখ্যা দিন দিন এত বাড়ছে যে চাইলেই ডাক্তার দেখানো সহজ নয়।


ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গাইড । কিভাবে যাবেন ? কিভাবে ডাক্তার দেখাবেন ?  ভেলোরের ক্রিশ্চিয়ান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গাইড । কিভাবে যাবেন ? কিভাবে ডাক্তার দেখাবেন ? Reviewed by Wisdom Apps on সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩ Rating: 5

বাংলারভূমি কি ? এখানে কি কি কাজ হয় ? what is banglarbhumi.gov.in ? how to work ? What are benefits ?

সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩

 বাংলারভূমি (Banglar bhumi )- পশ্চিমবঙ্গ ভূমি রেকর্ড



বাংলারভূমি (https://banglarbhumi.gov.in/) পশ্চিমবঙ্গ সরকাররের দ্বারা চালু করা জমির রেকর্ড এবং সংস্কারের জন্য একটি অনলাইন ওয়েবসাইট। যে কেউ এই পোর্টালটি ব্যবহার করে জমি এবং সম্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য যেমন মালিকের নাম, জমির আয়তন, প্লট নম্বর, সম্পত্তির মূল্যায়ন এবং বর্তমান মালিক কে তা জানতে পারবেন। জমি/সম্পত্তি সংক্রান্ত বিশদ বিবরণ একজন ক্রেতা বা জমি/সম্পত্তির মালিকের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

কোনো এক ব্যক্তি যদি কোনো জমি/সম্পত্তি অধিগ্রহণ করতে চান, তাহলে তার জমির মৌলিক তথ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেওয়া উচিত। এতে ঠকবার ভয় থাকে না এবং পরবর্তী কালে জমির মালিকানা  নিয়ে কোনো তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা থাকে না ।  

এই ওয়েবসাইট থেকে কেবলমাত্র জমির মালিক কে বা কার নামে এটি নিবন্ধিত তা নির্ধারণ করার মতো মৌলিক কাজ ছাড়া জমির সুনির্দিষ্ট  মানচিত্রও প্রদান করে । বঙ্গভূমি পোর্টাল সার্বিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গের জমি/সম্পত্তির প্রয়োজনীয় সমস্ত তথ্যের সম্বন্ধে জানায় ।

এই ওয়েবসাইটের আরেকটি সুবিধা হলো - এই তথ্যের মাধ্যমে নির্বাচিত এলাকায় উপলব্ধ পরিকাঠামো সম্পর্কে অবহিত হওয়া যায়  , জমির মালিকানার স্বচ্ছতার কারনে রাজ্যে নতুন উদ্যোগ স্থাপনের পরিকল্পনাকারী উদ্যোক্তাদের সহায়তা করে। একজন ব্যবহারকারী শুধুমাত্র জেলা এবং ব্লকের বিবরণ প্রবেশ করেই তার ব্লক সম্পর্কিত তথ্য পেতে পারেন।


দলিল নিবন্ধন

একটি সম্পত্তি নিবন্ধন দলিল ( property registration deed) হল একটি বাধ্যতামূলক চুক্তি যা দুটি পক্ষ দ্বারা সম্পাদিত হয়। সম্পত্তিটি তার নামে নিবন্ধিত হওয়ার পরে ক্রেতা সম্পত্তির আইনী মালিক হন। এই চুক্তি, যা ক্রয় বা জমির দলিল নামেও পরিচিত, অবশ্যই সরকারের খাতায় রেকর্ড করতে হবে। একটি ক্রয় বা জমি দলিল নিবন্ধন এখানে পাওয়া যেতে পারে. । 

উপরন্তু, এই দলিল নিবন্ধনের জন্য ই-অ্যাপয়েন্টমেন্ট এই ওয়েবসাইটেই সম্পন্ন করা যেতে পারে।

যদি দলিলের উপর প্রদেয় স্ট্যাম্প শুল্ক Rs.10,000/- এর বেশি হয় বা প্রদেয় নিবন্ধন মূল্য Rs.5,000/-, বা উভয়ের বেশি হয়, তাহলে নিবন্ধনের জন্য ই-পেমেন্ট প্রয়োজন৷ এই নিবন্ধন পদ্ধতিটি আয়কর বিভাগের সাথে যুক্ত, দলিল নিবন্ধনের সময় নিযুক্ত ব্যক্তিদের প্যান ( PAN verification) যাচাইকরণের অনুমতি দেয়।


বাংলারভূমি 2023-এ লগইন বা রেজিস্ট্রেশন করার পদ্ধতি - 

স্টেপ বাই স্টেপ রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি দেখে নিন এই খানে ক্লিক করে  

শর্টকাটে ১০ টি ধাপ দেখে নিন 👉

ধাপ 1: পশ্চিমবঙ্গ ই-জেলা ওয়েবসাইটে যান।

ধাপ 2: পৃষ্ঠার নীচে, ডানদিকে, "নাগরিক নিবন্ধন" বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 3: নিবন্ধন করতে, প্রয়োজনীয় তথ্য পূরণ করুন এবং "সংরক্ষণ করুন" এ ক্লিক করুন।

ধাপ 4: আপনার নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরে একটি ওয়ান-টাইম পাসওয়ার্ড (OTP) পাঠানো হবে।

ধাপ 5: OTP লিখুন, এবং আপনার নিবন্ধিত ইমেল ঠিকানায় একটি নিশ্চিতকরণ ইমেল পাঠানো হবে।

ধাপ 6: আপনার রেজিস্ট্রেশন শেষ করতে, অ্যাক্টিভেশন লিঙ্কে ক্লিক করুন।

ধাপ 7: আপনার ব্যবহারকারীর নাম এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে পোর্টালে লগ ইন করুন এবং সম্পত্তি রেকর্ডের জন্য সমস্ত বিবরণ পূরণ করুন।

ধাপ 8: সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি আপলোড করুন এবং "জমা দিন" বোতাম টিপুন।

ধাপ 9: আপনাকে একটি স্বীকৃতি স্লিপ এবং সেইসাথে একটি আবেদন নম্বর দেওয়া হবে।

ধাপ 10: যাচাইকরণের পরে, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ আপনার RoR শংসাপত্র প্রদান করবে।


কিভাবে স্ট্যাটাস অ্যাপ্লিকেশন ট্র্যাক করবেন ?

ধাপ 1: ই-ডিস্ট্রিক্ট ওয়েবসাইটে যান এবং নীচের ডানদিকে কোণায় "পরিদর্শন প্রতিবেদন" বোতামে ক্লিক করুন।

ধাপ 2: আপনার "অ্যাপ্লিকেশন আইডেন্টিফিকেশন নম্বর" লিখুন এবং আপনার আবেদনের স্থিতি পরীক্ষা করতে "সার্চ ডকুমেন্ট" এ ক্লিক করুন।


কিভাবে বাংলারভূমি স্ট্যাটাস ট্র্যাক করবেন?

banglarbhumi.gov.in-এ পশ্চিমবঙ্গ ই-ডিস্ট্রিক্ট (বাংলারভূমি) ওয়েবসাইট অ্যাক্সেস করুন এবং "আপনার সম্পত্তি জানুন" বিকল্পটি নির্বাচন করুন। পুনঃনির্দেশিত পৃষ্ঠায় সঠিক জেলা, ব্লক এবং মৌজাতে নেভিগেট করুন।


বাংলারভূমি ওয়েবসাইট দ্বারা প্রদত্ত পরিষেবা

এখানে বাংলারভূমি ওয়েবসাইটে অ্যাক্সেসযোগ্য কিছু পরিষেবা রয়েছে, যা https://banglarbhumi.gov.in/BanglarBhumi/Home.action-এর মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যেতে পারে

  • জমি বন্টন
  • ROR প্রয়োগ করুন
  • অনলাইন জমি রেকর্ড
  • রাজ্য ভূমি ব্যবহার বোর্ড
  • থিকা ভাড়াটিয়া
  • ভাড়া নিয়ন্ত্রক
  • প্রশিক্ষণ
  • মানচিত্র এবং রেকর্ডের ডিজিটালাইজেশন
  • আইএসইউ ব্যবস্থাপনা
  • খতিয়ান ও প্লট তথ্য


আপনি কীভাবে খতিয়ান এবং প্লটের তথ্য বিভিন্ন উপায়ে পরীক্ষা করতে পারেন তার জন্য এখানে কয়েকটি পদ্ধতি রয়েছে।


1. অনলাইন খতিয়ান চেক

বাংলারভূমি বা ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের পশ্চিমবঙ্গের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান এবং পৃষ্ঠার ডানদিকের শীর্ষে "আপনার সম্পত্তি জানুন" আইকনে ক্লিক করুন।

প্রয়োজনীয় তথ্য সম্পূর্ণ করুন, ক্যাপচা ইনপুট করুন এবং "দেখুন" বোতামে ক্লিক করুন।

আপনার পছন্দের উপর নির্ভর করে, আপনি প্লট বা "খতিয়ান" দ্বারা অনুসন্ধান করতে পারেন।


2. কোয়েরি নম্বরের মাধ্যমে

বাংলারভূমি বা ভূমি ও ভূমি সংস্কার এবং উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ ওয়েবপেজে নেভিগেট করুন এবং স্ক্রিনের উপরের ডানদিকে "কোয়েরি অনুসন্ধান" আইকনে ক্লিক করুন।

ক্যোয়ারী নম্বর, ক্যোয়ারী বছর এবং ক্যাপচা লিখুন, তারপর প্রশ্নে থাকা প্লট সম্পর্কে যেকোন তথ্য প্রদর্শন করতে "দেখান" এ ক্লিক করুন

 

বাংলারভূমির সুবিধা

বাংলারভূমি ল্যান্ড রিফর্মস পোর্টাল পশ্চিমবঙ্গে সম্পত্তি বিক্রয় এবং ক্রয়কে তুলনামূলকভাবে সহজ করে তোলে।

বাংলারভূমিতে নাম অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের ভূমি রেকর্ড অনুসন্ধানের পাশাপাশি, যে ব্যক্তিরা পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ড সম্পর্কে তথ্য চান তাদের কোনো সরকারি সংস্থার কাছে যেতে হবে না।


এই ওইয়েবসাইট থেকে আপনি ঠিক কি কি সুবিধা পেতে পারেন ?  

  • যে কেউ, যে কোনও জায়গায়, যে কোনও সময়ে, নাম অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ খতিয়ান প্লটের তথ্য সহ সমস্ত জমি এবং ভূমি সংস্কার তথ্য পেতে বাংলারভূমি পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন। নাম কৌশল দ্বারা পশ্চিমবঙ্গ ভূমি রেকর্ড অনুসন্ধান প্রাসঙ্গিক তথ্য সনাক্ত করার একটি দ্রুত উপায়।
  • বাংলারভূমি ওয়েবপেজ পশ্চিমবঙ্গ খতিয়ান প্লট তথ্য সহ রাজ্যের সমস্ত প্রাসঙ্গিক জমি এবং সম্পত্তির তথ্য প্রদান করে।
  • যে উদ্যোক্তারা পশ্চিমবঙ্গে ব্যবসা শুরু করতে চাইছেন তারা অবকাঠামোর প্রাপ্যতা পরীক্ষা করতে এবং পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ডের নাম-ভিত্তিক অনুসন্ধান করতে বাংলারভূমি ভূমি তথ্য WB পোর্টাল ব্যবহার করতে পারেন। এমনকি তারা যে জমিতে দোকান বসাতে চান সেখানে অনলাইন খতিয়ান চেকও পেতে পারেন।
  • পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা বাংলারভূমি ওয়েবসাইটে গিয়ে সময় এবং অর্থ বাঁচাতে পারেন।
  • পশ্চিমবঙ্গের যেকোনো স্থান থেকে বাংলারভূমি ভূমি তথ্য WB পোর্টাল অ্যাক্সেসযোগ্য। নাম অনুসারে পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ডগুলি দেখার সময় একই কথা সত্য।
  • বাংলারভূমি জমির তথ্য WB অনলাইন পশ্চিমবঙ্গের জমির রেকর্ডকে আরও স্বচ্ছ করেছে।
  • বাংলারভূমির পশ্চিমবঙ্গের ভূমি রেকর্ড নামের টুল দ্বারা অনুসন্ধান সম্পত্তি বিক্রি বা কেনার প্রক্রিয়াকে প্রবাহিত করে।
  • বাংলারভূমি অনলাইন খতিয়ান চেক সমর্থন করে এবং পশ্চিমবঙ্গ খতিয়ান প্লট তথ্যে নাম-ভিত্তিক অ্যাক্সেস দেয়।

বাংলারভূমি কি ? এখানে কি কি কাজ হয় ? what is banglarbhumi.gov.in ? how to work ? What are benefits ? বাংলারভূমি কি ? এখানে কি কি কাজ হয় ? what is banglarbhumi.gov.in ? how to work ? What are benefits ? Reviewed by Wisdom Apps on সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৩ Rating: 5

how to create account in banglarbhumi.gov.in- বাংলার ভূমি সাইটে কিভাবে একাউন্ট করবেন ? বাংলায় শিখুন ( ছবি সহ স্টেপ বাই স্টেপ )

আগস্ট ২৯, ২০২৩

শিখে নিন  banglarbhumi.gov.in পোর্টালে রেজিস্ট্রেশন ও লগইন করার পদ্ধতি ( আর ভুল হবে না )

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিজস্ব ওয়েবসাইট banglarbhumi.gov.in । বাংলারভূমি পোর্টাল অনলাইন মিউটেশন, ROR অনুরোধ এবং অনলাইনের মাধ্যমে আরও অনেক পরিষেবা দেওয়া হয়ে থাকে।

মনে রাখবেন নামের শেষে gov.in লেখা থাকলে সেই ওয়েবসাইটটি আসল । 

how to create account in banglarbhumi.gov.in- বাংলার ভূমি সাইটে কিভাবে একাউন্ট করবেন ? বাংলায় শিখুন ( ছবি সহ স্টেপ বাই স্টেপ ) how to create account in banglarbhumi.gov.in- বাংলার ভূমি সাইটে কিভাবে একাউন্ট করবেন ?  বাংলায় শিখুন ( ছবি সহ স্টেপ বাই স্টেপ ) Reviewed by Wisdom Apps on আগস্ট ২৯, ২০২৩ Rating: 5

মিউচুয়াল ফান্ড কি (ডাইরেক্ট ও জেনারেল) ? ETF কি ? NFO কি ?

জুলাই ২৮, ২০২৩

what is mutual fund easy

 মিউচুয়াল ফান্ড কি?

ধরুন আপনি শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করতে চাইছেন না, কারন মার্কেট বুঝে - ইনভেস্ট করা ও সঠিক সময় টাকা তুলে নেওয়ার মতো সময় আপনার নেই । তাহলে আপনি আপনার টাকা দিয়ে দিতে পারেন কিছু দক্ষ লোকের কাছে যারা আপনার হয়ে শেয়ার মার্কেটে ইনভেস্ট করবে এবং সামান্য কিছু কমিশন নিজেদের জন্য রেখে দিয়ে বাকি মুনাফা আপনাকেই দেবে । এই দক্ষ লোকেরদের বলে ফান্ড ম্যানেজার আর আপনি তাদের কাছ থেকে টাকার বদলে যেটা নিচ্ছেন সেটা সরাসরি শেয়ার নয় তাই তার নাম মিউচুয়াল ফান্ড । 

তাই বলা চলে -মিউচুয়াল ফান্ড হল একটি আর্থিক বাহন যা শেয়ারহোল্ডারদের কাছ থেকে স্টক, বন্ড, মানি মার্কেট ইনস্ট্রুমেন্ট এবং অন্যান্য সম্পদের মতো সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের জন্য সম্পদ সংগ্রহ করে। মিউচুয়াল ফান্ডগুলি পেশাদার মানি ম্যানেজারদের দ্বারা পরিচালিত হয়, যারা ফান্ডের সম্পদ বরাদ্দ করে এবং ফান্ডের বিনিয়োগকারীদের জন্য মূলধন লাভ বা আয় তৈরি করার চেষ্টা করে। একটি মিউচুয়াল ফান্ডের পোর্টফোলিও এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে তার প্রসপেক্টাসে উল্লিখিত বিনিয়োগের উদ্দেশ্যগুলির সাথে মেলে ।

একটা মিউচুয়াল ফান্ডের উদাহরন দেওয়া যাক ঃ 

TATA DIGITAL INDIA FUND ( টাটা ডিজিটাল ইন্ডিয়া ফান্ড ) কে উদাহরন হিসাবে নেওয়া যাক । এটি টাটা কোম্পানীর আন্ডারে থাকা একটা পপুলার মিউচুয়াল ফান্ড । এই ফান্ডে আপনি সামান্য 500 টাকাও যদি রাখেন সেই টাকাটা তারা ৩১ টা কোম্পানীতে নির্দিষ্ট ভাগে বিভক্ত করে বিনিয়োগ করবে । এই চার্টটা দেখুন , কোন কোম্পানীতে কি হারে টাকা বিনিয়োগ করা হবে তার চার্ট - 


প্রধান ১০ টি কোম্পানীর চার্ট দেওয়া হলো , এছাড়া আরো ২১ টি কোম্পানীতে আপনার টাকা বিনিয়োগ করা হবে , দেশী ছাড়াও বিদেশী কোম্পানী যেমন ফেসবুকের শেয়ারেও টাকা রাখা হবে । এভাবে আপনার বিনিয়োগ করা টাকা যতটা পারা যায় রিস্ক ফ্রী করার চেষ্টা করে  । 

বর্তমানে টাটা ডিজিটাল ইন্ডিয়া শেয়ারের ফান্ড ম্যানেজার হলেন মীতা শেঠি , ইনিি ঠিক করেন আপনার ইনভেস্ট করা টাকা কোন কোন কোম্পানীতে লাগানো হবে । এবার সেই কোম্পানীর শেয়ারের দাম বাড়লে আপনার পোর্টফোলিওর ভ্যালুও বাড়তে থাকবে । 

এইভাবে প্রতেকটি মিউচুয়াল ফান্ডে টাকার ঢালার আগে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে সেই কোম্পানী কোন কোন কোম্পানীতে কি পরিমানে ইনভেস্ট করছে ।  ফান্ড ম্যানেজার কে ? ইত্যাদি ইত্যাদি 

 

মিউচুয়াল ফান্ড কি (ডাইরেক্ট ও জেনারেল) ? ETF কি ? NFO কি ?  মিউচুয়াল ফান্ড কি (ডাইরেক্ট ও জেনারেল) ? ETF কি ? NFO কি ? Reviewed by Wisdom Apps on জুলাই ২৮, ২০২৩ Rating: 5

হোম লোনের সমস্ত নিয়ম , সুদের হার , আবেদন করার পদ্ধতি - বিস্তারিত - Home Loan all Indian Bank

মে ২২, ২০২৩

 ভারতের দুর্দান্ত সুদের হোম লোন,  দেখে নিন পদ্ধতি সহ সুযোগ সুবিধা

ঘরবাড়ি তৈরি করার ইচ্ছা সকলেরই থাকে। তবে অনেকেই সেই স্বপ্ন পূরণ করতে পারেনা আর্থিক অবস্থার জন্য। তবে বর্তমান সময়ে সেই ইচ্ছে পূরণের সুযোগ করে দিয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক। ফলেই ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে জনসাধারণ করতে পারেন তাদের নিজেদের স্বপ্নের বাড়ি। সাম্প্রতিক হোম লোনে এই চারটি ব্যাঙ্ক জনসাধারণকে বেশ সুবিধা দিচ্ছে। তাই চলুন দেরি না করে সেই চারটি ব্যাঙ্কের হোম লোনের সুদের হার, লোন নেওয়ার পদ্ধতি সহ নানান সুযোগ-সুবিধা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।


SBI ব্যাঙ্কের হোম লোনের বিস্তারিত তথ্য

স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (SBI)-এ হোম লোনের সুদের হার 

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক এসবিআই গৃহ ঋণের ক্ষেত্রে বেশ অনেকটাই কমিয়েছে সুদের হার। ব্যাঙ্কের নতুন ঘোষণা অনুযায়ী জানা গিয়েছে গ্রাহকরা যত পরিমাণ টাকা ঋণ নিক না কেন সুদের হার একই থাকবে। অর্থাৎ প্রসেসিং ফি ছাড়াই ৬.৭ শতাংশ হারে গৃহঋণ নিতে পারবেন আবেদনকারীরা।

এসবিআই (SBI)-এ গৃহ ঋণ নেওয়ার পদ্ধতি

স্টেট ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া থেকে হোম লোন নিতে গেলে প্রথমে YONO Account-এ লগইন করতে হবে। তারপর একটি পেজ আসবে সেই পেজের বাঁদিকের উপরে থাকা তিনটি ডটে ক্লিক করতে হবে। সেখানে গিয়ে লোনে ক্লিক করতে হবে। তারপর হোম লোনে ক্লিক করতে হবে। এরপর ওই হোম লোনে গিয়ে আবেদনকারীকে ঋণ নেওয়ার জন্য যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। সেই হিসেবে আবেদনকারীকে জন্মের প্রমাণ দিতে হবে, আয়ের উৎসব জানাতে হবে, মাসিক বেতন জানাতে হবে। এর পাশাপাশি অন্য কোনো লোন নিয়ে থাকলেও জানাতে হবে ব্যাঙ্ককে। এরপর ব্যাঙ্ক সেই আবেদনকারীকে জানাবে তিনি কত টাকা লোন নেওয়ার যোগ্য।  এই সবকিছু জমা দেওয়ার পর ব্যাঙ্ক একটি রেফারেন্স নম্বর দেবে আর তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ব্যাঙ্ক থেকে কল করা হবে সেই আবেদনকারীকে। 


SBI-এ হোম লোন নেওয়ার নথিপত্র



SBI-এ হোম লোন নিতে গেলে আবেদনকারীকে কোম্পানি বা নিয়োগকর্তাদের পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। 

🔹তিনটি পাসপোর্ট সাইজ ফটো সমেত আবেদনপত্র দেখাতে হবে। 

🔹পরিচয় পত্র হিসেবে দেখাতে হবে আধার কার্ড/ ভোটার আইডি/ প্যান কার্ড/ পাসপোর্ট/ ড্রাইভিং লাইসেন্স। 

🔹অন্যদিকে ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে দেখাতে হবে Telephone Bill/ Electricity Bill/Water Bill/ Piped Gas Bill or copy of Passport/ Driving License/ Aadhar Card।



এছাড়াও যে নথিপত্রগুলি দেখাতে হবে তা হলো 

🔹সম্পত্তির কাগজপত্র, 

🔹লোন নেওয়ার হিস্ট্রি, 

🔹অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, 

🔹বেতনভোগী কর্মী হলে আয়ের পরিমাণ, 

🔹বেতনভোগী না হলেও আয়ের পরিমাণের প্রমাণপত্র।

হোম লোনের সমস্ত নিয়ম , সুদের হার , আবেদন করার পদ্ধতি - বিস্তারিত - Home Loan all Indian Bank হোম লোনের সমস্ত নিয়ম , সুদের হার , আবেদন করার পদ্ধতি - বিস্তারিত  - Home Loan all Indian Bank Reviewed by Wisdom Apps on মে ২২, ২০২৩ Rating: 5

Indian abortion law in bengali চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১

ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩

 চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১

abortion law in india


সাধারণভাবে গর্ভপাত করালে যাঁর গর্ভপাত করানো হচ্ছে তাঁর বিভিন্ন ধরণের অসুস্থতা/কষ্ট দেখা দিতে পারে। তবে ক্ষেত্রবিশেষে গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্য ও জীবনহানির আশঙ্কা থাকলে অথবা চিকিৎসক প্রয়োজন বোধ করলে উপযুক্ত চিকিৎসক দ্বারা গর্ভপাত ঘটানো যেতে পারে। এই মর্মে চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১, প্রণয়ন করা হয়।

এই আইনের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় :

এই আইন জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্য বাদে ভারতের সব রাজ্যে প্রযোজ্য।

কে গর্ভপাত করাতে পারেন :

এই আইনের শর্ত মেনে গর্ভপাত ঘটালে ভারতীয় দন্ড সংহিতা বা কোনও চালু আইন অনুযায়ী কোনও চিকিৎসক দোষী সাব্যস্ত হবেন না । শুধুমাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকরাই গর্ভপাত করাতে পারেন।

যে যে ক্ষেত্রে গর্ভপাত করা যায় ঃ

•সাধারণতঃ গর্ভাবস্থার বারো সপ্তাহ পার হয়নি এমন অবস্থায় কেবল একজন রেজিষ্ট্রিভুক্ত চিকিৎসক গর্ভপাত ঘটাতে পারেন

• বারো সপ্তাহ পেরিয়েছে কিন্তু কুড়ি সপ্তাহ পার হয়নি এই অবস্থায় অন্তত পক্ষে দুজন চিকিৎসকের যদি এই অভিমত হয় নিম্নলিখিত তিনটি ক্ষেত্রে গর্ভপাত ঘটানো আবশ্যক তাহলে সেহ ক্ষেত্রগুলিতে গর্ভপাত করা যাবে :-

• এই গর্ভাবস্থা যদি চলতে থাকে তবে গর্ভবতী মহিলার জীবনের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে;

• তার মানসিক বা / ও শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে; বা

• গর্ভস্থ শিশুটি জন্মালে সে এমন শারীরিক ও মানসিক অস্বাভাবিকতায় ভুগবে যার ফলে সে গুরুতর প্রতিবন্ধী হয়ে পড়তে পারে।

• কিন্তু কোন রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক সৎ উদ্দেশ্যে যদি মনে করেন কোনও গর্ভবতী মহিলার প্রাণ রক্ষার জন্য জরুরী ভাবে এখনই গর্ভপাত করা প্রয়োজন তবে সেক্ষেত্রে একজন মাত্র রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকই গর্ভপাত করতে পারেন।

• যখন কোন গর্ভবতী মহিলা অভিযোগ করেন যে তিনি ধর্ষিতা হওয়ার জন্য তাঁর গর্ভসঞ্চার হয়েছে, সে ক্ষেত্রে এইভাবে গর্ভাবস্থা হওয়ার যন্ত্রণা ও উদ্বেগের কারণে সেই গর্ভবতী মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি হতে পারে, এই অনুমানের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা গর্ভপাত করতে পারেন।

•স্বামী বা স্ত্রীর ব্যবহৃত জন্মনিয়ন্ত্রণের কোন পদ্ধতি কার্যকরী না হওয়ার জন্য যদি গর্ভসঞ্চার হয়, তবে এই অবাঞ্ছিত গর্ভাবস্থা গর্ভবতী মহিলার মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতির কারণ হতে পারে এই অনুমানের ভিত্তিতে চিকিৎসকরা গর্ভপাত করতে পারেন।

• কোন মহিলার গর্ভাবস্থা এগিয়ে যেতে থাকলে সত্যিই তাতে-স্বাস্থ্য হানির ঝুঁকি আছে কিনা তা নিরূপণের জন্য গর্ভবতী মহিলার পরিবেশ পরিস্থিতি বাস্তবিক পক্ষে কী বা ভবিষ্যতে কী হতে পারে তা বুঝে দেখতে হবে।

ক) ১৮ বছরের কমবয়সী মহিলার অভিভাবকের লিখিত অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করানো যাবে না;

অথবা ১৮ বছর বয়স হলেও কোন মহিলা যদি মানসিক প্রতিবন্ধী হন তবে তাঁর গর্ভপাত তাঁর অভিভাবকের লিখিত অনুমতি ছাড়া করা যাবে না।

খ) বিশেষ ক্ষেত্র বাদে, গর্ভবতী মহিলার অনুমতি ছাড়া কোন গর্ভপাত করানো যাবে না।

কোথায় গর্ভপাত করানো যাবে :

ক) সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত কোন হাসপাতালে,

অথবা

খ) সরকার বা সরকার গঠিত জেলাস্তর কমিটি কর্তৃক সাময়িকভাবে অনুমোদিত কোন জায়গায়। সরকার এই জেলাস্তর কমিটি তৈরী করবেন এবং এই কমিটির সভাপতি / সভানেত্রী হবেন চীফ মেডিক্যাল অফিসার অথবা ডিস্ট্রিক্ট হেলথ্ অফিসার। এছাড়া অন্যত্র নয় ।

আইনানুযায়ী গর্ভপাত না করলে শাস্তি :

ক) রেজিস্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ গর্ভপাত করলে তার কমপক্ষে ভারতীয় দন্ড সংহিতার বিধান অনুযায়ী দু'বছর আর সবচেয়ে বেশি সাত বছরের সশ্রম কারাদন্ড হতে পারে।

খ) সরকার দ্বারা প্রতিষ্ঠিত বা পরিচালিত হাসপাতাল অথবা সরকার বা সরকার গঠিত জেলাস্তর কমিটি কর্তৃক অনুমোদিত জায়গা ছাড়া অন্য জায়গায় গর্ভপাত করলে তার কমপক্ষে দু'বছর থেকে সাত বছরের কারাদন্ড হতে পারে।

গ) উপরে বলে দেওয়া জায়গা ছাড়া অন্য কোনও জায়গায় গর্ভপাত করালে সেই জায়গার মালিক, সংস্থার প্রশাসনিক প্রধান অথবা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির কমপক্ষে দু'বছর থেকে সাতবছর সশ্রম কারাদন্ড হতে পারে।

জেনে রাখা দরকার

কোন মহিলাকে যদি কোন ব্যক্তি (এমনকি, স্বামী হলেও) উক্ত মহিলার অনুমতি ছাড়া গর্ভপাত করায় তাহলে ঐ মহিলা কোন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের (এন.জি.ও.) সাহায্য নিতে পারেন বা নিজ এলাকাভুক্ত থানায় এফ.আই.আর. করতে পারেন (যদি না তার ১৮ বছরের কম বয়স হয় বা মানসিক প্রতিবন্ধী হন) ।


Indian abortion law in bengali চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১ Indian abortion law in bengali  চিকিৎসাভিত্তিক গর্ভপাত আইন, ১৯৭১ Reviewed by Wisdom Apps on ফেব্রুয়ারী ১৯, ২০২৩ Rating: 5

যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষা আইন । কোনটা অপরাধ বলে গন্য হবে ? সাজা কি ? ভিডিওতে শিশুকে ব্যাবহার করা যাবে কি ? জেনে নিন

ডিসেম্বর ২৩, ২০২২
child sexual abuse law in bengali

শিশু সুরক্ষা আইন কেন প্রনয়ন করা হয়েছে ?

যৌন প্রহার, যৌন হেনস্থা, অশ্লীলতা থেকে শিশুদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য এবং এইসব অপরাধের বিচারের জন্য বিশেষ আদালত প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।


শিশুর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ গুলি কিভাবে ভাগ করা হয়েছে ?

শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধগুলিকে মোটামুটি পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে ঃ

(১) ভেদক যৌন প্রহার; (২) গুরুতর ভেদক যৌন প্রহার; (৩) যৌন প্রহার; (৪) গুরুতর যৌন প্রহার ; (৫) যৌন হেনস্থা


শিশুর সাথে যৌন ক্রিয়া করলে কি সাজা হতে পারে ?

যখন কোন ব্যক্তি তার নিজের বা অন্য কোন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ বা শরীরের অন্য কোন অংশ বা কোন বস্তু শিশুর যোনি, মুখে, মূত্রনালীতে বা মলদ্বারে বলপূর্বক প্রবেশ করায় অথবা শিশুটির শরীরের কোন অংশ এমনভাবে চালনা বা ব্যবহার করে যাতে ঐ বলপূর্বক প্রবেশ ঘটে অথবা কোন শিশুকে ঐ ব্যক্তির বা অন্য কোন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ, মূত্রনালী বা মলদ্বারে মুখ দিতে বাধ্য করে বা ঐ ব্যক্তি শিশুর পুরুষাঙ্গ, যোনি, মূত্রনালী বা মলদ্বারে মুখ দেয়, তখন ভেদক যৌন প্রহার (Penetrative Sexual Assault) সংঘটিত হয়। এই অপরাধের সাজা কমপক্ষে সাত বছর সর্বাধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং জরিমানাও ।


শিশুর সাথে যৌন অপরাধ করলে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হতে পারে

ভেদক যৌন প্রহার বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে গুরুতর বা প্রকুপিত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। বিশেষ ক্ষেত্রগুলিকে দুভাগে ভাগ করা যেতে পারে-- অপরাধী কোন ব্যক্তি ও অপরাধ কোন পরিস্থিতিতে ?

ব্যক্তির দিক থেকে--কোন পুলিশ অফিসার; সশস্ত্র বা সুরক্ষা বাহিনীর কোন সদস্য; সরকারি আধিকারিক ; সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালের পরিচালক বা কর্মী; শিশু-পরিষেবা নিযুক্ত কোন সংস্থার পরিচালক বা কর্মী বা সকলকে; শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পরিচালক বা কর্মী শিশুর সংগে আত্মীয়তায় সম্পর্কিত কোন ব্যক্তি পরিস্থিতির দিক থেকে- যূথবদ্ধভাবে ভেদক যৌন প্রহার; মারাত্মক অস্ত্রশস্ত্র; আগুন, তপ্তপদার্থ বা ক্ষয়কারী পদার্থ ব্যবহার; শিশুকে সাংঘাতিকভাবে আহত করা বা তার শারীরিক ক্ষতি করা বা তার যৌনাঙ্গে ক্ষত সৃষ্টি করা; শিশুকে স্থায়ীভাবে জড় করে দেওয়া বা মানসিকভাবে অসুস্থ করে দেওয়া বা শিশুর স্বাভাবিক দৈনন্দিন কাজে তাকে অপারগ করে দেওয়া; শিশুকে অন্তঃসত্ত্বা করা; শিশুর শরীরে HIV বা অন্য জীবনসংশয়ী রোগ বা সংক্রমণ তৈরি করা; শিশুর শারীরিক জড়তা বা মানসিক পঙ্গুত্বের সুযোগ নেওয়া; শিশুকে বারবার ভেদক যৌন প্রহারের শিকার করা; বারো বছর বয়সের কম শিশুকে ভেদক যৌন প্রহার করা; শিশুর সংগে বিশ্বাসের সম্পর্ক আছে, এমন পরিস্থিতি; শিশু অন্তঃসত্ত্বা জেনেও তার সংগে ভেদক যৌন সম্পর্ক; কোন সাম্প্রদায়িক বা উপদলীয় হিংসায়; যৌনসম্পর্কের পর হত্যার চেষ্টা; ঘটনার পর শিশুকে নগ্ন হয়ে জনসমক্ষে হাঁটতে বাধ্য করা; পুনঃ পুনঃ একই অপরাধ। এই অপরাধের শাস্তি ন্যূনতম দশ বছর সর্বাধিক যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা।


যৌন ইচ্ছা নিয়ে শিশুর শরীর কেবলমাত্র স্পর্শ করলেও সেটা শাস্তিমূলক অপরাধ

যদি কোন ব্যক্তি যৌন উদ্দেশ্যে কোন শিশুর যোনি, পুরুষাঙ্গ, মলদ্বার বা বুক স্পর্শ করে অথবা শিশুকে ঐ ব্যক্তির বা অন্য কোন ব্যক্তির যোনি, পুরুষাঙ্গ, মলদ্বার বা বুক স্পর্শ করতে বাধ্য করে অথবা যৌন উদ্দেশ্যে শারীরিক সম্পর্কে জড়িত অন্য কোন কাজ করে (কিন্তু ভেদক যৌন প্রহার নয়), সে যৌন প্রহারের অপরাধে দোষী হবে। এই অপরাধের জন্য অন্তত তিনবছর সশ্রম বা বিনাশ্রম সর্বাধিক পাঁচ বছর কারাদণ্ড ও জরিমানা হবে।


যৌন প্রহার বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে গুরুতর যৌন প্রহার গণ্য হবে। গুরুতর ভেদক যৌন প্রহারের (aggravated penetrative sexual assault) মতো এই অপরাধ-ও ব্যক্তিকেন্দ্রিক বা পরিস্থিতি-কেন্দ্রিক হতে পারে। তবে একাধিক ব্যক্তি শিশুকে গুরুতর যৌন প্রহার করলে ঐ কাজ গুরুতর ভেদক যৌন প্রহার হিসাবে গণ্য করা হবে এবং সেই মোতাবেক সাজা হবে। গুরুতর যৌন প্রহারের শাস্তি হল ন্যূনতম পাঁচ বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম সর্বাধিক সাত বছর কারাদণ্ড,সংগে জরিমানা-ও।



শিশুকে অশ্লীল ছবি / ভিডিও দেখানো বা অশ্লীল ইশারা করলে সেটা শাস্তিমূলক অপরাধ

যদি কোন ব্যক্তি যৌন উদ্দেশ্যে (১) শিশু দেখতে বা শুনতে পায় এমন শব্দ বা ইঙ্গিত বা অঙ্গভঙ্গি বা কোন ইঙ্গিতবহ বস্তু বা শরীরের কোন অংশ ব্যবহার করে, অথবা (২) ঐ ব্যক্তি বা অন্য কোন ব্যক্তির সামনে শিশুকে তার শরীর বা শরীরের কোন অংশ দেখাতে বাধ্য করে, অথবা (৩) অশ্লীল বিবরণ বা ছবি শিশুকে দেখায়, অথবা (৪) বারবার বা অনবরত প্রত্যক্ষভাবে বা কোন বৈদ্যুতিন ব্যবস্থার মাধ্যমে শিশুকে অনুসরণ, লক্ষ্য বা যোগাযোগ করে, অথবা (৫) কোন বৈদ্যুতিন বা চিত্রনাট্য মাধ্যমে শিশুর শরীরের কোন অংশ বা শিশুর যৌনক্রিয়ার ছবি প্রকাশ করার ভয় দেখায়, অথবা (৬) কোন শিশুকে ভয় বা লোভ দেখিয়ে বা উপহার দিয়ে অশ্লীল উদ্দেশ্যে ফুসলে নেয়, সে শিশুকে যৌন হেনস্থার অপরাধে দোষী হবে। এই অপরাধের সাজা তিনবছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা ।


সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশুকে অশ্লীলভাবে দেখালে সেটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ

উপরের পাঁচটি অপরাধ ছাড়াও এই আইনে আরো দুটি অপরাধ হতে পারে। প্রথমটি হল শিশুকে অশ্লীলভাবে যে কোন ধরণের মাধ্যমে ব্যবহার করা, তা বিজ্ঞাপনেই হোক বা টেলিভিশন চ্যানেলের কোন অনুষ্ঠানেই হোক বা ইণ্টারনেটে হোক বা কোন মুদ্রণমাধ্যমে বা বৈদ্যুতিন মাধ্যমে হোক, বা তা ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য হোক বা ছড়িয়ে দেবার জন্য হোক, তার উদ্দেশ্য যদি যৌন সন্তুষ্টি, তার শাস্তি হল পাঁচবছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড থেকে সাত বছর পর্যন্ত ও জরিমানাও। এই অপরাধের সংগে যদি অন্য যৌন অপরাধ থাকে, সেই অনুযায়ী সাজা হবে, এমনকী যাবজ্জীবন কারাদণ্ডও হতে পারে, সংগে জরিমানা। আবার, যদি কেউ বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য ঐ অশ্লীল বস্তু সঞ্চয় করে, তার তিনবছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড অথবা জরিমানা অথবা উভয়ই শাস্তি হবে। দ্বিতীয়টি হল, যৌন অপরাধে সহায়তা বা সহযোগিতা করা বা প্ররোচনা দেওয়া। এই অপরাধের শাস্তি মূল অপরাধের সমান।


শিশুর উপর যৌন অত্যাচার / হেনস্থা বা অনুরূপ অপরাধ হলে কোথায় জানাবেন ?

যে কোন ব্যক্তি, শিশুর নিজেও, এই অপরাধের বা তা সংঘটনের সম্ভাবনার কথা বিশেষ জুভেনাইল পুলিশ বা স্থানীয় পুলিশকে (থানা) জানাতে পারে। সমস্ত ধরণের মাধ্যমে হোস্টেলের হাসপাতালের, ক্লাবের ও তার কর্মীর উপর আইনত দায়িত্ব ন্যস্ত আছে, যাতে শিশুর প্রতি যৌন অপরাধের সংবাদ তারা পুলিশকে জানায় । নালিশ না জানানো বা তা নথিভুক্ত না করা এই আইনে শাস্তিযোগ্য। এই আইনের অধীনে মামলাগুলির বিচার হবে প্রতি জেলায় একটি বিশেষ আদালতে। এই আইনে আরো বলা আছে যে, এই আইনের ৩, ৫, ৭ ও ৯ ধারায় বিচারকালীন বিশেষ আদালত পূর্বানুমান করবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তি অপরাধটি সংঘটিত করেছেন। আদালত আরো পূর্বানুমান করবে যে অভিযুক্ত ব্যক্তির অপরাধমূলক মানসিক অবস্থা ছিল । এই আইনে মামলা চলাকালীন নির্যাতিত শিশু যাতে অভিযুক্তের সংগে প্রত্যক্ষ সাক্ষাতে না আসে তা দেখার দায়িত্ব বিশেষ আদালতের।

মনে রাখবেন শিশু সুরক্ষা আইন ২০১২ অনুসারে এই মামলার বিচার হবে গোপনে (in camera), মুক্ত আদালতে নয়। মামলাতে আইনজীবির সাহায্য নেওয়া বা পাওয়া যে শিশুর অধিকার সেকথা এই আইনে স্পষ্টভাবে উল্লিখিত।

যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষা আইন । কোনটা অপরাধ বলে গন্য হবে ? সাজা কি ? ভিডিওতে শিশুকে ব্যাবহার করা যাবে কি ? জেনে নিন যৌন অপরাধের ক্ষেত্রে শিশুদের সুরক্ষা আইন । কোনটা অপরাধ বলে গন্য হবে ? সাজা কি ? ভিডিওতে শিশুকে ব্যাবহার করা যাবে কি ? জেনে নিন Reviewed by Wisdom Apps on ডিসেম্বর ২৩, ২০২২ Rating: 5
Blogger দ্বারা পরিচালিত.